সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলাকারীদের শাস্তি দাবি সাংবাদিকদের
নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর হামলা ও মন্দিরসহ ধর্মীয় উপাসনালয় ভাঙচুরকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ঢাকায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা। রোববার সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা এই দাবি জানান। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতার নামে নিরীহ সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর নগ্ন হামলা ও চারজনকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষাসহ চলমান সহিংসতা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান তাঁরা। একই সঙ্গে সাম্প্রদায়িক উষ্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকতে সকলের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন সাংবাদিকরা।
বিবৃতিতে বলা হয়, উগ্র সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদি গোষ্ঠী ’৭১-এর মতো আবারো সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন শুরু করেছে। একের পর এক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে। অত্যাচার নির্যাতনের শিকার হয়ে অনেক পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাই অবিলম্বে অসহায় পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াতে সরকারসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। সেই সঙ্গে চিহ্নিত মৌলবাদীদের হামলার শিকার সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে শহীদ মিনার দ্রুত পুনর্নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। এছাড়া বিবৃতিতে সাম্প্রদায়িক উষ্কানিদাতাদের দ্রুত চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও বিচাচের মুখোমুখি করা এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ ধর্মীয় সকল প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিদাতারা হলেন- মনোজ কান্তি রায় (বাসস), অজিত সরকার (বাসস), সুকুমার সরকার (বাংলা নিউজ), মাহমুদুর রহমান খোকন (সভাপতি, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি বহুমুখী সমবায় সমিতি), আশীষ কুমার দে (পিটিবি নিউজ ২৪ডটকম), রফিকুল ইসলাম সবুজ (নির্বাহী সদস্য, বিএফইউজে), সোহেল হায়দার চৌধুরী (মানব কণ্ঠ), কল্যাণ সাহা (চ্যানেল আই), মধূসুদন মন্ডল (বাসস), সৈয়দ আহমেদ অটল (করতোয়া), মলয় সাহা (নিউ এইজ), প্রতীক ইজাজ (সকালের খবর), রফিকুল ইসলাম মন্টু (আলোকিত বাংলাদেশ), আলী রিয়াজ (বাংলাদেশ প্রতিদিন), আলতাব হোসেন (সমকাল), শান্তনু চৌধুরী (এসএ টিভি), বরুন ভৌমিক নয়ন (বাসস), অমিতোষ পাল (কালের কণ্ঠ), এহসান রফিক (করতোয়া) সন্তোষ শর্মা (আমাদের অর্থনীতি), রফিকুল বাশার (ইত্তেফাক), আঙ্গুর নাহার মন্টি (ভোরের কাগজ), রাশেদ আলী (ভোরের কাগজ), আরিফুজ্জামান তুহিন (কালের কণ্ঠ), হাসনাইন ইমতিয়াজ (অর্থনীতি প্রতিদিন), কানাই চক্রবর্তী (বাসস), ফারহান ফেরদৌস (বিডি নিউজ২৪.কম), রেজা করিম (সকালের খবর), নাজমুল ইমাম (সমকাল), মনজুরুল আহসান (নিউ এইজ), লুৎফুর রহমান কাকন (আমাদের সময়), জাকারিয়া মুক্তা (সময় টিভি), শেখ মামুনুর রশীদ (যুগান্তর), অশোকেশ রায় (বাংলা নিউজ), আইরীন নিয়াজী মান্না (ফ্রিল্যান্স), তপন বিশ্বাস (জনকণ্ঠ), উত্তম চক্রবর্তী (জনকণ্ঠ), ফিরোজ মান্না (জনকণ্ঠ), বিভাষ বাড়ৈ (জনকণ্ঠ), মোরসালিন মিজান (জনকণ্ঠ), নিখিল মানকিন ( জনকণ্ঠ), রাজন ভট্টাচার্য (জনকণ্ঠ), শাহ আলম খান (জনকণ্ঠ), রশিদ মামুন (জনকণ্ঠ), শাহীন রহমান (জনকণ্ঠ), অপূর্ব কুমার (জনকণ্ঠ), মহিউদ্দিন আহমেদ (জনকণ্ঠ), পরিতোষ কুমার তুষার (জনকণ্ঠ), পরিমল পালমা ( ডেইলি স্টার), পঙ্কজ কর্মকার (ডেইলি স্টার), ওয়াসিম বিন হাবিব (ডেইলী স্টার), রাকিবউদ্দিন (সংবাদ), শহিদুল ইসলাম (বিডি নিউজ), জান্নাতুল ফেরদাউস (ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন), মুরাদ হোসেন (আমাদের অর্থনীতি), আবদুল হাই তুহিন (ভোরের কাগজ), উৎপল দাশগুপ্ত (ডেসটিনি), আজমল হক হেলাল (সাবেক সহ-সভাপতি, ডিআরইউ), মাসুদ কার্জন (ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন), আলমগীর স্বপন (এটিএন বাংলা), দিপু সারোয়ার (বৈশাখী টেলিভিশন), মাসুদ কার্জন (ইন্ডিপেন্টেন্ড টেলিভিশন), রুকনুজ্জামান (বাংলা ভিশন), সাজিদ রহমান (মানবকণ্ঠ), পাভেল হায়দার চৌধুরী (কালের কণ্ঠ), আরিফুজ্জামান তুহিন (কালের কণ্ঠ), সৈয়দ সামিউল বাশার (ঢাকা ট্রিবিউন), আরেফিন সাজ্জাত (চ্যানেল ২৪), শামসুল আলম স্বপন (কেন্দ্রীয় সভাপতি, বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এ্যাসোসিয়শেন), আদিত্য আরাফাত (বাংলা নিউজ), আহমেদ ফয়েজ (নিউ এইজ), আজিজুল পারভেজ (কালের কণ্ঠ), রাব্বি সিদ্দিকী (দেশ টিভি), রিশাদ হুদা (ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন), নাঈমা মৌ (আরটিভি) মতলু মল্লিক (বাংলাদেশ প্রতিদিন), জেসমিন মলি (বণিক বার্তা), মনজুরুল আহসান (নিউ এইজ), সুমন আখতার (বণিক বার্তা), সেরাজুল ইসলাম ( বাংলা নিউজ), নিবারন বড়ুয়া (বাংলাদেশ প্রতিদিন), আতিকুর রহমান (আজকালের খবর), মিজান রহমান (যায়যায়দিন), শরিয়তউল্ল্যাহ খান (যায়যায়দিন), দীপন নন্দি (যায়যায়দিন), রাজু হামিদ (আমাদের সময়) প্রমুখ।