সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও আইনকানুনে উজ্জীবিত হতে হবেঃ প্রধানমন্ত্রী
বিশেষ প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ দেশের সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য যে কোনো ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে সশস্ত্র বাহিনীর উদ্দেশে সর্বশক্তি প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৮ মার্চ (বৃহস্পতিবার) সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে একথা বলেন। এদিন সকাল সাড়ে নয়টায় প্রধানমন্ত্রী সেনাকুঞ্জে যান। সেখানে সেনাবাহিনী-প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়া, নৌবাহিনী-প্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল এম ফরিদ হাবিব, বিমানবাহিনীর ভারপ্রাপ্ত প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল আবু এসরার, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পিএসও (প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার) লে. জেনারেল আবু বেলাল মো. শফিউল হক প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রয়াত রাষ্ট্রপতির প্রতি সম্মান জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে তিন বাহিনীর প্রধানেরা সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সামরিক সচিব, প্রেস সচিব এবং ঢাকা গ্যারিসন এলাকার দায়িত্বশীল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অতীতে একটি স্বার্থান্বেষী মহল সশস্ত্র বাহিনীকে ব্যবহার করে গণতন্ত্র বাধা দিয়েছিল। আপনাদের এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, সশস্ত্র বাহিনীকে ব্যবহার করে কোনো অগণতান্ত্রিক শক্তি যাতে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে না পারে।” শেখ হাসিনা বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও আইনকানুনে উজ্জীবিত হতে হবে, যাতে তারা দেশের সংবিধান ও গণতান্ত্রিক সরকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়। এসময় সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন করতে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় গত চার বছরে তার সরকারের সাফল্যও তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য, গত ২৪ মার্চ বগুড়ায় এক জনসভায় বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া গণতন্ত্র রক্ষায় সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ চেয়ে বক্তৃতা দিয়েছিলেন। তবে পরে বিএনপি জানিয়েছে, খালেদার বক্তব্য সংবাদ মাধ্যমগুলো ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে। বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, সেনাবাহিনীর উদ্দেশে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার জন্য খালেদার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে সরকার।