ফেসবুকঃ সম্পর্ক ভাঙার একটা ফাঁদ
এসবিডি নিউজ24 ডট কম,ডেস্কঃ ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলো সামাজিক যোগাযোগে যেমন ভূমিকা রাখছে, ঠিক তেমনি নারী-পুরুষের একান্ত সম্পর্কের মধ্যে অবিশ্বাস, ঈর্ষা আর সন্দেহও তৈরি করছে। উপরন্তু পরস্পরের সম্পর্কে গভীর ফাটল এমনকি ভেঙেও দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক সম্প্রতি এক গবেষণায় পাওয়া এ তথ্য জানিয়েছেন। ডেইলি মেইলে সম্প্রতি তিন বছরের কম সময়ের সম্পর্কের মধ্যে জড়িত এমন ব্যক্তিদের নিয়ে এ গবেষণা চালানোর পর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানান। গবেষণায়, ১৮ থেকে ৮২ বছর বয়সী ব্যক্তিরা ফেসবুক ব্যবহারের কারণে সৃষ্ট অতীত ও বর্তমানে টানা-পোড়েন নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন।
সব বয়সের বিবাহিত দম্পতিদের মধ্যে ফেসবুকের কারণে ঈর্ষা বেড়ে যায়। এ ধরণের লক্ষণ খুঁজে পেয়েছেন গবেষকেরা। এ ছাড়া শারীরিক- মানসিক প্রতারণা, সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া, সংসার ভেঙে যাওয়ার মতো ঘটনার জন্যও ফেসবুকেই অনেক বেশি দায়ী। সাইবার সাইকোলজি, বিহেভিয়ার অ্যান্ড সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাময়িকীতে প্রকাশিত নিবন্ধে প্রধান গবেষক রাসেল ক্লেটন। তিনি জানান, রোমান্টিক সম্পর্কের মধ্যে থেকে কোনো ব্যক্তি যখন অতিরিক্ত ফেসবুক ব্যবহার করেন তখন সঙ্গীর কঠোর নজরদারির মধ্যে পড়েন সেই ব্যক্তি। এ কারণে জন্ম নেয় ঈর্ষা। এ ঈর্ষা শুরু হয় বাক-বিতণ্ডা। গবেষক ক্লেটন বলেন, “বেশি সময় ফেসবুক ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে পুরোনো সম্পর্কে ফিরে আসেন বা আসতে পারেন। এতে তার বর্তমান সঙ্গী মানসিক ও শারীরিক প্রতারণার শিকার হন। গবেষণায় ফেসবুক থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন নতুন দম্পতি ও নতুন সম্পর্কের বাঁধা পড়া সঙ্গীদেরকে। গবেষক ক্লেটন বলেন, “অপরিণত সম্পর্কের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সময় ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটের ব্যবহারে সম্পর্ক ভাঙার একটা ফাঁদ।” তবে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বেশি ব্যবহার করলেও পরিণত সম্পর্কে তা প্রভাব ফেলতে পারে না। গবেষকেরা পরামর্শ দিয়ে বলেন, “কারো সম্পর্কে জানতে তাঁর সামাজিক যোগাযোগের প্রোফাইল বেশ ভালো মাধ্যম। তবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ফেসবুক ব্যবহার না ও পরস্পরকে বাড়তি সময় দিয়ে নতুন দম্পতিদের মধ্যে মনোমালিন্য কমানো যেতে পারে।” খেয়াল রাখবেন সেসব ব্যবহারকারী পরস্পরকে নতুন করে জানছেন, জানেন। তবে সামাজিক যোগাযোগের ফাঁদে পড়ে সম্পর্কে নিজের ভালো সম্পর্কের ইতি টানবেন না।