চার সিটিতে প্রচারণা শেষ ।। দুয়ারে কড়া নাড়ছে নির্বাচন
পুলক চৌধুরী,রুপম হালদার,শহিদুল ইসলাম,রিয়াদ হাসান,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা ১৩ জুন (বৃহস্পতিবার) মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। দুয়ারে কড়া নাড়ছে রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন। শনিবার একযোগে এই চার সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত ও বিরোধী দল সমর্থিত প্রার্থীরা ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে চার সিটিতেই। শেষ সময়ের যোগ-বিয়োগে কে জিতবে আর কে হারবে তাই নিয়ে জনমনে চলছে জল্পনা-কল্পনা। তবে লড়াই যে হাড্ডাহাড্ডি হবে তা প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমেই বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রার্থীরা। অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে এ উপলক্ষে চার নগরীকে ইতোমধ্যে ঢেকে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে। বৃহস্পতিবারের মধ্যেই বহিরাগতদের ওই চার নগরী ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে টহল দিতে শুরু করেছে বিজিবি।
চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন বরিশাল, খুলনা, সিলেট ও রাজশাহীতে বিরাজ করছে টান টান উত্তেজনা। ইতোমধ্যেই ভোটযুদ্ধে সরগরম হয়ে উঠেছে প্রতিটি সিটি করপোরেশনের প্রতিটি পাড়া, মহল্লা ও অলিগলি। স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচন দল নিরপেক্ষ হলেও ইতোমধ্যেই ক্ষমতাসীন সরকারি দলের ১৪ দলীয় মহাজোট ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকসাইটে প্রার্থীরা সরাসরি পুরোদস্তুর নির্বাচনী আবহ তৈরি হয়েছে। চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ‘অ্যাসিড টেস্ট’ হিসেবে দেখছে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলসহ বিশ্লেষকরা। সিটি নির্বাচনের ফলাফলই নির্ধারণ করবে জাতীয় নির্বাচনের রূপরেখা- এমনও বলছেন কেউ কেউ। দলীয় সমর্থিত প্রার্থীদের বিজয়ী করতে জাতীয় ও স্থানীয় রাজনৈতিক ইস্যুকে প্রচারের কাজে লাগানো হয়েছে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দল ও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারের শুরু থেকেই অবস্থান নিয়েছিলেন শীর্ষ নেতারা। অন্যদিকে সিটি নির্বাচনে থমকে গেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিরোধীদলীয় জোটের ধারাবাহিক আন্দোলনের গতি। দলীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে আর কোনো কঠোর কর্মসূচি দেবে না বিরোধী দল। এরই মধ্যে সংসদে যোগ দিয়েছেন বিএনপিসহ জোটের সংসদ সদস্যরা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সিটি নির্বাচনে ভোটারদের সহানুভূতি পেতেই সরকারের সঙ্গে আলোচনায় সহনশীলতার মনোভাব দেখাচ্ছেন বিরোধী নেতারা। সূত্রমতে, সিটি নির্বাচনের ফলাফলের ভিত্তিতেই নির্ধারণ হবে আগামী আন্দোলনের কর্মসূচি। কাঙ্খিত ফলাফল না পেলে ‘নির্বাচনে কারচুপি’ জাতীয় ইস্যুতে হরতালের মতো কর্মসূচি দেয়া হতে পারে। আর কাঙ্খিত বিজয় অর্জন হলে জাতীয় নির্বাচনে ভোটের হাওয়া অনুকূলে থাকবে, একইসঙ্গে নেতাকর্মীরাও চাঙা হয়ে উঠবে- এমন প্রত্যাশা বিরোধী দলের। অন্যদিকে, সিটি নির্বাচনকে সমান গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে ক্ষমতাসীন জোট। প্রভাবশালী নেতারা নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে ভোটারদের কাছে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন। দলীয় সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে প্রচারকৌশল নির্ধারণে নির্বাচনী এলাকার বাইরে কেন্দ্রীয় নেতাদের গোপন বৈঠক করার অভিযোগও পাওয়া গেছে। এমনকি অভিযোগ উঠেছে ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত প্রাথীর পক্ষে ভোটারদের সহানুভূতি পেতে সরকারি সুযোগ-সুবিধাও দেয়া হয়েছে।
বিশেষভাবে উল্লেখ করা যায়, রাজশাহী (রাসিক) ও সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচন। এ দু’টি নির্বাচনের ফলাফলকে জাতীয় নির্বাচনের ভাগ্যনির্ধারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ক্ষমতাসীন ও বিরোধীদলীয় প্রধান দুই জোট। প্রধান দুই জোট সিসিক নির্বাচনকে দেখছে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে। দেশের ৩০০ আসনের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসন সিলেট-১। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, এ আসনে যে দল জয়লাভ করে সে দলই সরকার গঠন করে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না মেনে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলই সিসিক নির্বাচনকে সমান গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে। এ কারণেই প্রচার শুরুর পর থেকে দুই দলের কেন্দ্রীয় নেতারা ধারাবাহিকভাবে সিলেট সফর করছেন। দলীয় সমর্থিত প্রার্থীর পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচনের জন্যও তারা কাজ করছেন বলে জানায় একাধিক সূত্র। গত ১০ জুন রাতে ১৮ দলীয় জোট সমর্থিত প্রার্থী আরিফুল হকের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে সিলেটে যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন ও সাদেক হোসেন খোকাসহ চার নেতা।
নির্বাচন কমিশন সরকার প্রভাবিত– এমন দাবি করে ড. মোশাররফ সরকারের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, প্রভাবিত না হলে তারা নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতো। একইভাবে গত ৮ জুন ১৪ দলের প্রার্থী কামরানের প্রচারণায় অংশ নিতে সিলেটে যান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম। এছাড়া উপদেষ্টামণ্ডলীর দুই সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমদ ৭ জুন সিলেট সফর করেন। এদিকে, দীর্ঘদিনের শত্রুতা ভুলে গত ১১ জুন রাজশাহীতে একমঞ্চে বসেছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান মিনু ও রাজশাহী জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তফা। মহানগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বিএনপি সমর্থিত ২৬ জন মেয়রের অংশগ্রহণে ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি রাজশাহী বিভাগের সাধারণ সম্পাদক হারুন-আর-রশিদ ও রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফসারুল হক দুলু। দেশের সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোকে সেমিফাইনাল খেলা হিসেবে উল্লেখ করে সভায় বক্তারা বলেন, ‘সেমি ফাইনালে জিতলেই ফাইনাল খেলায় (সংসদ নির্বাচন) অংশ নেয়া হবে।’ বিভাগীয় নেতারা আরও বলেন, ‘সিটি নির্বাচনে জয় তুলতে পারলে তত্ত্বাবধায়ক আন্দোলনে শক্তিশালী ভূমিকা রাখা যাবে।’ ওই সভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্মমহাসচিব মিজানুর রহমান মিনু সিটি নির্বাচনকে জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
একইদিনে বিএনপি নেতাদের ওই ঘোষণার পর মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিক্রিয়া জানান আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামানের নির্বাচনী প্রচারণা কমিটির আহ্বায়ক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। রাসিক নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে বিএনপি উঠেপড়ে লেগেছে দাবি করে বাদশা বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী বুলবুল জেলা রির্টানিং অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে তাকে ধমকিয়েছেন ও ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। এ অবস্থায় রাসিক নির্বাচনে বড় ধরনের সহিংসতার আশঙ্কা করছি আমরা।’ এদিকে, নির্বাচনী প্রচারণা তুঙ্গে থাকার সময়ই হঠাৎ করে রাজশাহী মহানগরীতে গ্যাস সংযোগ দেয়া হয়। সরকারি এ সিদ্ধান্তে বিরোধীদলীয় জোট সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠে। সরকার সমর্থক প্রার্থীর পক্ষে পরোক্ষ প্রচারণা হিসেবে দাবি করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা হয়। বিরোধী নেতারা নির্বাচনী এলাকায় গ্যাস সংযোগকে নির্বাচনী প্রভাব বিস্তার হিসেবে দেখছেন। একইভাবে বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নিজ নিজ দলের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে প্রচারণায় অংশ নেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। দুয়ারে কড়া নাড়ছে রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন। শনিবার একযোগে এই চার সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত ও বিরোধী দল সমর্থিত প্রার্থীরা ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে চার সিটিতেই। শেষ সময়ের যোগ-বিয়োগে কে জিতবে আর কে হারবে তাই নিয়ে জনমনে চলছে জল্পনা-কল্পনা। তবে লড়াই যে হাড্ডাহাড্ডি হবে তা প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমেই বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রার্থীরা।
অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে এ উপলক্ষে চার নগরীকে ইতোমধ্যে ঢেকে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তার চাদরে। বৃহস্পতিবারের মধ্যেই বহিরাগতদের ওই চার নগরী ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে টহল দিতে শুরু করেছে বিজিবি।
চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এখন বরিশাল, খুলনা, সিলেট ও রাজশাহীতে বিরাজ করছে টান টান উত্তেজনা। ইতোমধ্যেই ভোটযুদ্ধে সরগরম হয়ে উঠেছে প্রতিটি সিটি করপোরেশনের প্রতিটি পাড়া, মহল্লা ও অলিগলি।
স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচন দল নিরপেক্ষ হলেও ইতোমধ্যেই ক্ষমতাসীন সরকারি দলের ১৪ দলীয় মহাজোট ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকসাইটে প্রার্থীরা সরাসরি পুরোদস্তুর নির্বাচনী আবহ তৈরি হয়েছে। চার সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ‘অ্যাসিড টেস্ট’ হিসেবে দেখছে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলসহ বিশ্লেষকরা। সিটি নির্বাচনের ফলাফলই নির্ধারণ করবে জাতীয় নির্বাচনের রূপরেখা- এমনও বলছেন কেউ কেউ।
দলীয় সমর্থিত প্রার্থীদের বিজয়ী করতে জাতীয় ও স্থানীয় রাজনৈতিক ইস্যুকে প্রচারের কাজে লাগানো হয়েছে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দল ও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল সমর্থিত প্রার্থীদের পক্ষে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারের শুরু থেকেই অবস্থান নিয়েছিলেন শীর্ষ নেতারা।
অন্যদিকে সিটি নির্বাচনে থমকে গেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিরোধীদলীয় জোটের ধারাবাহিক আন্দোলনের গতি।
দলীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগে আর কোনো কঠোর কর্মসূচি দেবে না বিরোধী দল। এরই মধ্যে সংসদে যোগ দিয়েছেন বিএনপিসহ জোটের সংসদ সদস্যরা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সিটি নির্বাচনে ভোটারদের সহানুভূতি পেতেই সরকারের সঙ্গে আলোচনায় সহনশীলতার মনোভাব দেখাচ্ছেন বিরোধী নেতারা।
সূত্রমতে, সিটি নির্বাচনের ফলাফলের ভিত্তিতেই নির্ধারণ হবে আগামী আন্দোলনের কর্মসূচি। কাঙ্খিত ফলাফল না পেলে ‘নির্বাচনে কারচুপি’ জাতীয় ইস্যুতে হরতালের মতো কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে। আর কাঙ্খিত বিজয় অর্জন হলে জাতীয় নির্বাচনে ভোটের হাওয়া অনুকূলে থাকবে, একইসঙ্গে নেতাকর্মীরাও চাঙা হয়ে উঠবে- এমন প্রত্যাশা বিরোধী দলের।
অন্যদিকে, সিটি নির্বাচনকে সমান গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে ক্ষমতাসীন জোট। প্রভাবশালী নেতারা নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে ভোটারদের কাছে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন। দলীয় সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে প্রচারকৌশল নির্ধারণে নির্বাচনী এলাকার বাইরে কেন্দ্রীয় নেতাদের গোপন বৈঠক করার অভিযোগও পাওয়া গেছে। এমনকি অভিযোগ উঠেছে ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত প্রাথীর পক্ষে ভোটারদের সহানুভূতি পেতে সরকারি সুযোগ-সুবিধাও দেওয়া হয়েছে।
বিশেষভাবে উল্লেখ করা যায়, রাজশাহী (রাসিক) ও সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচন। এ দু’টি নির্বাচনের ফলাফলকে জাতীয় নির্বাচনের ভাগ্যনির্ধারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ক্ষমতাসীন ও বিরোধীদলীয় প্রধান দুই জোট।
প্রধান দুই জোট সিসিক নির্বাচনকে দেখছে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে। দেশের ৩০০ আসনের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসন সিলেট-১।
অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, এ আসনে যে দল জয়লাভ করে সে দলই সরকার গঠন করে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না মেনে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলই সিসিক নির্বাচনকে সমান গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।
এ কারণেই প্রচার শুরুর পর থেকে দুই দলের কেন্দ্রীয় নেতারা ধারাবাহিকভাবে সিলেট সফর করছেন। দলীয় সমর্থিত প্রার্থীর পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচনের জন্যও তারা কাজ করছেন বলে জানায় একাধিক সূত্র।
গত ১০ জুন রাতে ১৮ দলীয় জোট সমর্থিত প্রার্থী আরিফুল হকের নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে সিলেটে যান বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন ও সাদেক হোসেন খোকাসহ চার নেতা।
নির্বাচন কমিশন সরকার প্রভাবিত– এমন দাবি করে ড. মোশাররফ সরকারের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন, প্রভাবিত না হলে তারা নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতো।
একইভাবে গত ৮ জুন ১৪ দলের প্রার্থী কামরানের প্রচারণায় অংশ নিতে সিলেটে যান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম। এছাড়া উপদেষ্টামণ্ডলীর দুই সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমদ ৭ জুন সিলেট সফর করেন।
এদিকে, দীর্ঘদিনের শত্রুতা ভুলে গত ১১ জুন রাজশাহীতে একমঞ্চে বসেছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান মিনু ও রাজশাহী জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তফা।
মহানগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের বিএনপি সমর্থিত ২৬ জন মেয়রের অংশগ্রহণে ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি রাজশাহী বিভাগের সাধারণ সম্পাদক হারুন-আর-রশিদ ও রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফসারুল হক দুলু।
দেশের সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোকে সেমিফাইনাল খেলা হিসেবে উল্লেখ করে সভায় বক্তারা বলেন, ‘সেমি ফাইনালে জিতলেই ফাইনাল খেলায় (সংসদ নির্বাচন) অংশ নেয়া হবে।’ বিভাগীয় নেতারা আরও বলেন, ‘সিটি নির্বাচনে জয় তুলতে পারলে তত্ত্বাবধায়ক আন্দোলনে শক্তিশালী ভূমিকা রাখা যাবে।’
ওই সভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্মমহাসচিব মিজানুর রহমান মিনু সিটি নির্বাচনকে জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
একইদিনে বিএনপি নেতাদের ওই ঘোষণার পর মহানগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিক্রিয়া জানান আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামানের নির্বাচনী প্রচারণা কমিটির আহ্বায়ক সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা।
রাসিক নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে বিএনপি উঠেপড়ে লেগেছে দাবি করে বাদশা বলেন, ‘নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী বুলবুল জেলা রির্টানিং অফিসারের কার্যালয়ে গিয়ে তাকে ধমকিয়েছেন ও ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। এ অবস্থায় রাসিক নির্বাচনে বড় ধরনের সহিংসতার আশঙ্কা করছি আমরা।’
এদিকে, নির্বাচনী প্রচারণা তুঙ্গে থাকার সময়ই হঠাৎ করে রাজশাহী মহানগরীতে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়। সরকারি এ সিদ্ধান্তে বিরোধীদলীয় জোট সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠে। সরকার সমর্থক প্রার্থীর পক্ষে পরোক্ষ প্রচারণা হিসেবে দাবি করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা হয়। বিরোধী নেতারা নির্বাচনী এলাকায় গ্যাস সংযোগকে নির্বাচনী প্রভাব বিস্তার হিসেবে দেখছেন।
একইভাবে বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নিজ নিজ দলের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে প্রচারণায় অংশ নেন কেন্দ্রীয় নেতারা।