আজও আমি বিপুলকে ভুলতে পারনি…
ফজলুল বারীঃ জীবনের প্রথম পত্রিকা বিচিন্তা বন্ধ হবার পরের গল্প। একদিন একটি মেয়ে আমার সঙ্গে দেখা করতে আসে টিএসসিতে। মেয়েটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে চুয়াডাঙ্গা থেকে এসে রোকেয়া হলে উঠেছে। একটু পাহাড়ি পাহাড়ি চেহারা। আমাকে বললো তার নাম বিপুল। চুয়াডাঙ্গায় থাকতে বিচিন্তায় আমার লেখা পড়তো গোগ্রাসে। অনেকগুলো রিপোর্টের শিরোনাম-তথ্য মুখস্ত বললো। এভাবে একদিন-দু’দিন যায়। এরপর আমাদের দেখা হতে থাকে প্রতিদিন। নিরব হোটেলে বা এখানে সেখানে গিয়ে একসাথে খাই। রাতের বেলা রোকেয়া হলের পাশ দিয়ে যেতে মনটা হুহু করে! দু’জনেই বুঝতে পারি আমাদের প্রেম চলছে! এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের প্রায় সব প্রধান ছাত্রনেতার সঙ্গে ব্যক্তিগত চেনাজানার সম্পর্ক তখন। তারা-সহকর্মী সাংবাদিকরাও বুঝতে জানতে পারেন ফজলুল বারীর প্রেম চলছে! আমাদের ডেটিংএর স্পেশাল বিশেষ কিছু স্পট ছিল! এরমধ্যে একটি ছিল বুড়িগঙ্গা সেতুর নিচে! নৌকা দিয়ে গিয়ে সেতুর নিচে পিলারের পাঠাতনটায় আমরা বসে থাকতাম ঘন্টার পর ঘন্টা! লঞ্চের যাত্রীরা আমাদের দেখে উৎসাহে হাত নাড়তেন! এমন আরও অনেক স্মৃতি!
এরপর একদিন বিপুল চুয়াডাঙ্গার বাড়ি গেলে ঘটে দূর্ঘটনা! ঢাকা ছেড়ে যাবার আগে তাকে শ্যামলিতে বাসে তুলে দিয়ে আসি, কিন্তু বিপুল ফিরে এসে আর দেখা করেনা! হলে স্লিপ পাঠালে সে দেখা করেনা! তার রুমমেট একজন এসে জানায় বাড়ি, যাবার পর তার বিয়ে হয়েছে। ছেলে আমেরিকায় থাকে। বিয়েটা তার সম্মতিতেই হয়েছে! আমি বিষয়টি মানতে পারিনা। বিপুলের ক্লাসের আশেপাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকি। ক্লাস থেকে বেরিয়ে মুখোমুখি হতেই তাকে ফ্যাকাসে দেখায়! কিন্তু সে কথা বলতে চায় না! হনহন করে হলের দিকে চলে যায়!
যেহেতু আমি ক্যাম্পাসে পরিচিত মুখ ছিলাম ঘটনাটি চাউর হয়ে যায় চারপাশে। এমন পরিস্থিতিতে সবাই যাই করে তা আমিও করি! জিজ্ঞাসার জবাবে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুরে বলি আমার কোন দোষ ছিলোনা। বিপুলের দোষ তাও বলতে পারিনা। কারন তার সঙ্গে আমার বিষয়টি নিয়েতো কোন কথা হয়নি। মানস একদিন এসে বাসায় একটি ক্যাসেট রেখে যায়(আজকের এটিএন’এর মানস ঘোষ)! ক্যাসটটি বাজাতে গিয়ে দূঃখের মধ্যে হেসে ফেলি। বিরহের গানের একটি কালেকশন! এমন পরিস্থিতিতে যা হয়তো সবাই শোনে! আমিও শুনেছি। আর চোখ ভিজিয়েছি একা! একদিন আমেরিকায় চলে যায় বিপুল। তার সঙ্গে আর কথা হয়নি। আজও না! জীবনের অনেক পথ পাড়ি দিয়ে এসে আজও আমি বিপুলকে ভুলতে পারনি। প্রথম প্রেম বুঝি এমন ভোলা যায়না! ফেসবুকে কত মানুষ পাই-পেয়েছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত বিপুলকে পাইনি। আমার থেকে পালিয়ে থাকতে বিপুল কী কোনদিন ফেসবুকেও একাউন্ট খোলেনি?
এরপর একদিন বিপুল চুয়াডাঙ্গার বাড়ি গেলে ঘটে দূর্ঘটনা! ঢাকা ছেড়ে যাবার আগে তাকে শ্যামলিতে বাসে তুলে দিয়ে আসি, কিন্তু বিপুল ফিরে এসে আর দেখা করেনা! হলে স্লিপ পাঠালে সে দেখা করেনা! তার রুমমেট একজন এসে জানায় বাড়ি, যাবার পর তার বিয়ে হয়েছে। ছেলে আমেরিকায় থাকে। বিয়েটা তার সম্মতিতেই হয়েছে! আমি বিষয়টি মানতে পারিনা। বিপুলের ক্লাসের আশেপাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকি। ক্লাস থেকে বেরিয়ে মুখোমুখি হতেই তাকে ফ্যাকাসে দেখায়! কিন্তু সে কথা বলতে চায় না! হনহন করে হলের দিকে চলে যায়!
যেহেতু আমি ক্যাম্পাসে পরিচিত মুখ ছিলাম ঘটনাটি চাউর হয়ে যায় চারপাশে। এমন পরিস্থিতিতে সবাই যাই করে তা আমিও করি! জিজ্ঞাসার জবাবে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুরে বলি আমার কোন দোষ ছিলোনা। বিপুলের দোষ তাও বলতে পারিনা। কারন তার সঙ্গে আমার বিষয়টি নিয়েতো কোন কথা হয়নি। মানস একদিন এসে বাসায় একটি ক্যাসেট রেখে যায়(আজকের এটিএন’এর মানস ঘোষ)! ক্যাসটটি বাজাতে গিয়ে দূঃখের মধ্যে হেসে ফেলি। বিরহের গানের একটি কালেকশন! এমন পরিস্থিতিতে যা হয়তো সবাই শোনে! আমিও শুনেছি। আর চোখ ভিজিয়েছি একা! একদিন আমেরিকায় চলে যায় বিপুল। তার সঙ্গে আর কথা হয়নি। আজও না! জীবনের অনেক পথ পাড়ি দিয়ে এসে আজও আমি বিপুলকে ভুলতে পারনি। প্রথম প্রেম বুঝি এমন ভোলা যায়না! ফেসবুকে কত মানুষ পাই-পেয়েছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত বিপুলকে পাইনি। আমার থেকে পালিয়ে থাকতে বিপুল কী কোনদিন ফেসবুকেও একাউন্ট খোলেনি?