হঠাৎ বৃষ্টি’র কারণে কানাডার ব্যস্ততম বানিজ্যিক শহর টরন্টোর প্রায় আড়াই লাখ বাসিন্দা এখনো অন্ধকারে
এসবিডি নিউজ24 ডট কম,ডেস্কঃ কানাডার ব্যস্ততম বানিজ্যিক শহর টরন্টোর প্রায় আড়াই লাখ বাসিন্দা এখনো অন্ধকারে । সোমবারের হঠাৎ বৃষ্টিতে শহরের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্থ হয়ে পড়লে প্রায় ৩ লাখ লোক ব্ল্যাক আউটরে কবলে পড়েন। মঙ্গলবার সকাল (এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত) ২৫ থেকে ৩০ হাজার অধিবাসীকে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার আওতায় আনা গেছে। বাকিরা এখনো অন্ধকারেই বসবাস করছেন। এদিকে সোমবার বিকেলে বন্ধ হয়ে যাওয়া সাবওয়ে সিস্টেমের সিংহভাগই সকালের মধ্যে চালু হয়ে গেছে। ফলে ব্লোর অ্যান্ডফোর্থ লাইনের জেন এবং ক্লিপলিং মধ্যখানেছাড়া সবজায়গায়ই সাবওয়ে চলাচল করছে। এই দুটি স্থানের যাত্রীদের জন্য শাটল বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অধিকাংশ রাস্তায়ই যানবাহন চলাচল শুরু হলেও জীবনযাত্রা পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরো সময় লাগবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। গত সোমবার সন্ধ্যায় অকস্মাৎ টানা বৃষ্টিতে কানাডার প্রধান ও ব্যস্ততম বানিজ্যিক শহর বৃহত্তর টরন্টো কার্যত অচল হয়ে পড়ে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে ছয় হাজারেরও অধিক নাগরিক অন্ধকারে ডুবে যায় । আর ভারী বৃষ্টির পানিতে শহর সয়লাব হয়ে পড়ায় শত শত গাড়ি রাস্তার উপর ফেলে রেখে গাড়ি মালিকদের বাড়ী ফিরতে হয়েছে। বন্যার মতো পানিতে ডুবে থাকা শহরের রাস্তাজুড়ে পরিত্যক্ত গাড়ির বহর,অন্ধকার মিলিয়ে যেন বিভৎস পরিস্থিতির তৈরি করেছে। এনভায়রনমেন্ট কানাডা জানিয়েছে,বৃহত্তর টরন্টোর কোনো কোনো এলাকায় ২ ঘন্টায় প্রায় ১০০ মিমি এর মতো বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর আগে ২০০৮ সালে ২৯ মিমি বৃষ্টিপাত একদিনের সর্বোচ্চ বৃস্টিপাতের রেকর্ড গড়েছিলো। ওই সময় সারা মাসের গড় বৃষ্টিপাতের রেকর্ড ছিলো ৭৪ মিমি। কিন্তু সোমবার সন্ধ্যায় দুই ঘন্টায়ই গড়ে ৯০ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। কোনো কোনো এলাকায় সেটি একশত মিমি ছাড়িয়ে গেছে। মুর্হমুহু বজ্রপাতের ফলে বিদ্যূৎ বিপর্যয় দেখা দিলে টরন্টোর সাবওয়ে ব্যবস্থাও বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় হাজার হাজার যাত্রী বিভিন্ন সাবওয়ে স্টেশনে আটকা পড়ে। রাতে পুরো সাবওয়ে নেটওয়ার্ক বন্ধ হয়ে গেলে আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অকস্মাৎ ভারি বৃষ্টিপাতে হাইওয়েসহ শহরের বিভিন্ন রাস্তায় পানি জমে যায়। বিপুল সংখ্যক গাড়ি পানিতে আটকে পড়ে। নারী পুরুষ নির্বিশেষে বিপুল সংখ্যক মানুষ ঘন্টার পর ঘন্টা জলাবদ্ধ রাস্তায় গাড়ির ভেতর আটকে থাকেন। অনেকে আবার গাড়ি থেকে বের হয়ে গাড়ির ছাদে বসে সাহায্যের অপেক্ষায় সময় কাটান।
সূত্রঃ নতুনদেশ ডট কম।।