রূপগঞ্জে গ্যাস সংকটঃ ৩ শতাধিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান এখনও বন্ধ
এসবিডি নিউজ24 ডট কম,ডেস্কঃ রূপগঞ্জে গ্যাস সংকট প্রকট আকার ধারন করেছে। গ্যাসের প্রেসার আরো অবনতি হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩ শতাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। আরো ২ শতাধিক শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন চার ভাগের এক ভাগে নেমে এসেছে। এ নিয়ে ফুসেঁ উঠছে স্থানীয় শিল্প মালিক ও শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার তারা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নেমে এসে দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। গ্যাসের ক্রমবর্ধমান সংকটের কারন হিসেবে তিতাস গ্যাস এন্ড ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানীর যাত্রামুড়া কার্যালয়ের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার জানান, সরকারি সিগ্ধান্ত মোতাবেক গত ৭ জুলাই বন্ধ থাকা হরিপুর ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যু কেন্দ্র চালু, ৮ জুলাই যমুনা সার কারখানা পূর্নদমে উৎপাদনে যাওয়া এবং একই দিনে ঘোড়াশালে দুটি বেসরকারি পাওয়ার প্লান্টে গ্যাস সরবরাহের কারনে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তবে স্থানীয় কার্যালয়ের জৈনক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, গত ২ মাসে রূপগঞ্জে সহস্রাধিক অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়ায় রূপগঞ্জ-তারাব শিল্পাঞ্চলে গ্যাসের এ প্রকট অবস্থা তৈরী হয়েছে। রূপগঞ্জের শিল্পাঞ্চলের গ্যাস সংকট নিরসনকল্পে শিল্পমালিকদের এক জরুরী সভায় মাহবুব গ্রুপের চেয়ারম্যান খান মাহবুব বলেন, স্থানীয় তিতাস গ্যাসের ডিজিএম আলাউদ্দিনের সেচ্ছাচারিতা,দূর্নীতি ও নজরদারীর অভাবে গ্যাসের সংকট চলছে। তিনি অভিলম্বে মালিক পক্ষ থেকে তার অপসারন দাবি করেন। অপরদিকে হিমালয় পেপার্স এন্ড বোর্ড মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিমা রহমান বলেন, ডিজিএম আলাউদ্দিনকে তিনি ৫টি ভিন্ন ভাউচারের মাধ্যেমে সাড়ে ৩২ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েও গ্যাসের অভাবে তার প্রতিষ্ঠান চালু রাখতে পারছেন না। প্রায় প্রত্যেক শিল্প মালিক ডিজিএমের অপসারন দাবি করেন। অব্যাহত গ্যাস সংকটের ব্যাপারে তিতাসের আঞ্চলিক প্রকৌশলী লস্কর আহমেদ বলেন, রূপগঞ্জ শিল্পাঞ্চলের তারাব ডিআরএস থেকে প্রতিদিন শিল্পাঞ্চলে গ্যাসের সরবরাহের প্রয়োজন ৪৫/৪৬ মিলিয়ন গনফুট । সেখানে বর্তমানে প্রতিদিন ২৫/২৬ মিলিয়ন গনফুট গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে। তবে শিল্প মালিকরা বলছেন দিনে ১০ মিলিয়ন গনফুট গ্যাসও শিল্প প্রতিষ্ঠানে দেয়া হচ্ছে না। যা পাওয়া যাচ্ছে তাতেও প্রেসার মিলছে না। জানা যায়, প্রতিষ্ঠানগুলো চালু রাখতে ২০ থেকে ৩০ পিএসআই প্রেসার দরকার সেখানে বর্তমানে ২ থেকে ৫ পিএসআই প্রেসার রয়েছে, যা দিয়ে মিলগুলো চালু রাখা যাচ্ছেনা। একারনে বৃহস্পতিবার সকালে কাজে যোগ দিতে এসে প্রেসার না পেয়ে শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে আসে। পরে মালিকপক্ষের অনুরোধে তারা মিলে ফিরে যায়। তবে মালিক পক্ষ থেকে জানানো হয়, যদি গ্যাসের স্বাভাবিক প্রেসার ফিরে না আসে তাহলে আগামী রবিবার স্থানীয় তিতাসের আঞ্চলিক কার্যালয় ঘেরাও সহ ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অচল করে দেয়া হবে।