গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর আদা বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে
মোঃ ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর আদা সর্বোৎকৃষ্ট মানের হওয়ায় দেশের চাহিদা মিটিয়ে বর্তমানে বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। পলাশবাড়ীতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে আদা। এখানকার মাটি আদা চাষে উপযোগী হওয়ায় আদা চাষ করে নিজেদের ভাগ্য ফিরিয়েছেন অনেকে কৃষকেই।উপজেলার ৪০ ভাগ জমি আদা চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় প্রতিবছর আদার আবাদ বাড়ছে। সেই সাথে বাম্পার ফলন পেয়ে লাভবান হচ্ছে কৃষকরা। ইতিমধ্যে আদা চাষ করে পলাশবাড়ীর অনেক কৃষক সংসারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছেন। কারণ পলাশবাড়ীর আদা মানের দিক দিয়ে বিশ্বের সর্বোকৃষ্ট। আর এ কারণে পাকিস্তান আমলে করাচির ব্যবসায়ীরা গাইবান্ধায় আদা আমদানি করত। পরে প্রক্রিয়াজাত করে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেছে। উর্বর দোঁআশ মাটি, জমির উচ্চতা, প্রয়োজনীয় বৃষ্টিপাত এবং শুষ্ক-আদ্র আবহওয়া সবদিক থেকেই পলাশবাড়ীর জলবায়ু আদা চাষের জন্য উপযোগী। আর এ কারণে প্রতিবছর এ জেলার প্রচুর আদা চাষ হয়ে থাকে।কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৯ ইউনিয়নে মোট আবাদি জমির পরিমাণ প্রায় ৪৫ হাজার হেক্টর। এর মধ্যে এক ফসলি জমির পরিমাণ ১৩ হাজার, দু’ফসলি জমির পরিমাণ ২৭ হাজার এবং তিন ফসলি জমির পরিমাণ ৫ হাজার হেক্টর। জেলায় ধান, পাট, গমের পরে এখানকার কৃষকরা অর্থকরী ফসল হিসেবে আদা চাষ করে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় পলাশবাড়ী উপজেলায় এ বছর অন্যন্ন বছরের চেয়ে আদা চাষ বেশি হয়েছে। একাধিক আদা চাষির অভিযোগ, এ উপজেলায় প্রচুর আদা আবাদ হলেও আদা সংরক্ষণের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় কৃষকরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আদা চাষিদের দাবি, এখানকার উৎপাদিত আদা মানের দিক দিয়ে বিশ্বের সর্বোৎকৃষ্ট। ফলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বর্তমানে সিঙ্গাপুর, জাপান, কানাডা, জার্মানি ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে। পলাশবাড়ী কৃষি কর্মকর্তা শওকাত ওছমান জানায়, সম্ভাবনাময় হওয়ার পরও উন্নত জাত ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে আদা চাষে সরকারি পর্যায়ে কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় এ সম্ভাবনা তেমন একটা কাজে লাগানো যাচ্ছে না।