সিনিয়র টিভি সাংবাদিকদের বিবৃতিঃ রনিকে কোনো অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানানোরও আহ্বান
এসবিডি নিউজ24 ডট কম,ডেস্কঃ পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি ও তার সহযোগীদের হাতে ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের দুই সাংবাদিককে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের সিনিয়র সম্প্রচার সাংবাদিকরা। একই সঙ্গে এই ঘটনার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এমপি রনিকে কোনো টেলিভিশনের কোনো অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানানোরও আহ্বান জানান তারা। ২১ জুলাই একটি যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন সম্প্রচার সাংবাদিকরা। বিবৃতিতে বলা হয়, ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের অপরাধবিষয়ক অনুসন্ধানী অনুষ্ঠান ‘তালাশ’-এর সংবাদ সংগ্রহের কাজে শনিবার রাজধানীর মেহেরবা প্লাজায় সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনির কাছে যান। সংবাদ সংগ্রহের এক পর্যায়ে গোলাম মাওলা রনি এবং তার সর্মথকরা সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা সাংবাদিকদের রোলার দিয়ে বেধড়ক মারধর করে এবং তাদের ক্যামরো ও মাইক্রোফোন কেড়ে নেয়। হামলায় সাংবাদিক ইমতিয়াজ মোমিন সনি ও মহসিন মকবুল আহত হন। সিনিয়র টেলিভিশন সাংবাদিকরা বিবৃতিতে বলেন, ‘পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির হাতে ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিকরা যেভাবে নিগৃহীত ও নির্যাতিত হয়েছেন তা ন্যক্কারজনক ও নিন্দনীয়। দেশের নীতি নির্ধারকরা যখন সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার কথা বলেন তখন সরকারি দলের একজন সাংসদের এই আচরণ তাদের সেই সদিচ্ছাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে। এই ঘটনায় এরই মধ্যেই ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে। সিনিয়র সাংবাদিকরা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দ্রুত এই ঘটনার জন্য দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। এই ঘটনার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট এমপিকে কোনো টেলিভিশনে কোনো অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানানোরও আহ্বান জানানো হয়।
যারা বিবৃতি দিয়েছেন তারা হলেন মনজুরুল আহসান বুলবুল (বৈশাখী টেলিভিশন), খালেদ মুহিউদ্দিন (ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশন), খায়রুল অনোয়ার (এনটিভি), সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা (চ্যানেল ৭১), মোস্তফা ফিরোজ ( বাংলাভিশন), ইব্রাহিম আজাদ (একুশে টেলিভিশন), সুকান্ত গুপ্ত অলক (দেশ টিভি), সাইফুল আমিন ( চ্যানেল আই), জ ই মামুন (এটিএন বাংলা), মুন্নী সাহা (এটিএন নিউজ ), রেজোয়ানুল হক রাজা (মাছরাঙা), শরীফুল ইসলাম ( এসএ টিভি), লুৎফর রহমান ( আরটিভি), মেসবাহ আহমেদ (গাজী টিভি), সোহেল মাহমুদ (মোহনা টিভি), মাহমুদ আল ফয়সাল (মাই টিভি)।