সব চাকরিতে বেতন বাড়লেও বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিকদের কমে!
এসবিডি নিউজ24 ডট কম,ডেস্কঃ যে কোনো চাকরিতেই সময়ের সাথে সাথে বেতনভাতা বাড়ে। কিন্তু বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শ্রমিকদের ক্ষেত্রে ঘটছে তার উল্টো। ১০ বছর আগে গার্মেন্টস শ্রমিকরা যে মজুরি পেতো ,এখন তার চেয়েও কমমজুরি পায় তারা । গত ১০ বছরে গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি ২.৩ শতাংশ কমেছে। অথচ এই তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী অন্যতম শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বিশ্বের খ্যাতনামা হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি,জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব টরন্টোসহ ১৮০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ওয়ার্কার্স রাইটস কনসোর্টিয়াম বিভিন্নদেশের গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি হারের প্রবণতার উপর সমীক্ষা চালিয়ে এই তথ্য প্রকাশ করেছে। সেন্টার ফর আমেরিকান প্রগ্রেস নামের একটি স্বাধীন সংস্থা সম্প্রতি এই গবেষনার ফলাফল প্রকাশ করেছে। ওয়ার্কার রাইটস কনসোর্টিয়ামের ডেপুটি ডাইরেক্টর বেন হেনসলার এই প্রসঙ্গে বলেন, তারা গত ১০ বছরে বিশ্বব্যাপী গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতনভাতার প্রবণতা দিয়ে গবেষনা করেছে। গবেষনায় প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, অধিকাংশ দেশেই গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি ১০ বছর আগে যা ছিলো তার চেয়ে কমেছে। তৈরি পোশাক শিল্প শ্রমিকদের বিশেষ করে নারীদের দারিদ্র থেকে বের হয়ে আসার ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকাই রাখছে না। গবেষনায় দেখা যায়, ২১টি শীর্ষ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেমের মধ্যে ১৫টি দেশই একটি পরিবারের বেঁচে থাকার জন্য যা প্রয়োজন তার মাত্র ৩৬.৮ শতাংশ গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীর কাজের মুজুরি থেকে পায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে শীর্ষ চারটি দেশের যথাক্রমে চীন,ভিয়েতনাম এবং ইন্দোনেশিয়ার গার্মেন্টস শ্রমিকরা তাদের জীবিকার প্রয়োজনের যথাক্রমে ৩৬,২২ এবং ২৯ শতাংশ পায় গার্মেন্টস এর মজুরি থেকে। আর বাংলাদেমের গার্মেন্টস শ্রমিকরা তার বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয় অর্থের মাত্র ১৪ শতাংশ পায় গার্মেন্টস কাজের মজুরি থেকে। এই অর্থ দিয়ে পুষ্টি,সুস্থ আবাস তো দূরের কথা,জীবিকা নির্বাহই হয়ে উঠে না। জীবিকার চাহিদা নির্বাহের ঘাটতি পূরন করতে প্রায় প্রতিটি শ্রমিকই দীর্ঘ সময় ওভারটাইম করে। কিন্তু তা দিয়ে যে আয় হয়,তাতেও তার দরিদ্রদশার অবসান ঘটে না বলে গবেষনায় মন্তব্য করা হয়।