ঈদ উপলক্ষে সুন্দরগঞ্জের নদীপথ মাদক পাচারের ট্রানজিট রুট
মোঃ ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ ঈদ উপলক্ষে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা তিস্তা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীপথ মাদক পাচারের ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করছে এলাকার মাদক পাচারকারীরা।জানা গেছে, সংঘবদ্ধ মাদক পাচারকারী দল ভারতের সীমান্ত পেরিয়ে কুড়িগ্রামের রাজীবপুর, ফুলবাড়ী, নাগেরশরী হয়ে নদীপথে সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় হরিপুর ঘাটে সুকৌশলে হাজার হাজার বোতল ফেনসিডিল, গাঁজা, ইয়াবা ও হেরোইন নিয়ে আসছে। এছাড়াও এসব মাদকদ্রব্য কাউনিয়া রেলস্টেশন হয়ে গঙ্গারহাটে, শটিবাড়ী হয়ে বামনডাঙ্গাসহ উপজেলার বিভিন্ন খুচরা বিক্রতার কাছে পৌঁছায়। উপজেলার চিহ্নিত ১০টি নির্দিষ্ট স্থান থেকে দিন-রাতে মাদকদ্রব্য পাচার হচ্ছে। সুন্দরগঞ্জের হরিপুর ঘাট ভারতীয় সীমানার নিকটবর্তী হওয়ায় বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে মাদক পাচারকারী দল নৌকাসহ বিভিন্ন কৌশলে নদীর ঘাট থেকেই বিভিন্ন স্থানে মাদক পাচার করছে। এদিকে হাতের নাগালেই এসব মাদকদ্রব্য পাওয়ায় সহজেই বিভিন্ন শ্রেণীর লোকজন মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। এতে আরো আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় অভিভাবকরা। যেসব স্থান থেকে এসব মাদক পাচার হচ্ছে সেগুলো হলো বামনডাঙ্গার সালাম ঠসার বাড়ি, ম লেরহাটে মাস্টারের বাড়ি, হরিপুরঘাট সংলগ্ন পাঁচপীর বাজারে প্রভাবশালী ব্যক্তির চিহ্নিত তিনটি বাড়ি। উপজেলার চিহ্নিত মাদক সম্রাট সালাম ঠসার বাড়ি বামনডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ি থেকে মাত্র আধা কিলোমিটার দূরত্বে। এছাড়া মাদক পাচারের জন্য বিখ্যাত পাঁচপীর বাজার কঞ্চিবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। পুলিশ প্রশাসনের হাতের নাগালেই অবৈধ মাদকের কারবার চললেও তা বন্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হচ্ছে না। ফলে সঙ্গত কারণে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।