করোনাভাইরাস: মহামারি এড়াতে সচেতনতা জরুরী
শুভাশিস ব্যানার্জি শুভ: সম্প্রতি নতুন এক ভাইরাসের সন্ধান পেয়েছে বিজ্ঞানীরা। এটির না দেয়া হয়েছে ‘করোনাভাইরাস’। অতি সংক্রামণকারী এই প্রাণঘাতী ভাইরাস ছড়ায় মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে। এর সংক্রামণে রোগী প্রথমে মারাত্মক নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয় রোগী এবং একপর্যায় কিডনি পুরোপুরিভাবে অকার্যকর হয়ে যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এরই মধ্যে এ ভাইরাসের ভয়াবহতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং বিশ্ববাসীকে সতর্ক করার কার্যক্রম শুরু করেছে।
জানা গেছে, গত ২০১২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে ৩৮ ব্যাক্তি আক্রান্ত হয়েছে । এদের মাঝে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের ১১ জনই সৌদি নাগরিক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী সৌদি আরব, জর্ডান, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সকে ইতোমধ্যেই ‘করোনাভাইরাস’ সম্পর্কে রেড এলার্ট জারি করেছে। এই ভাইরাস দ্বারা নারী-পুরুষ উভয়েই আক্রন্ত হতে পারে। ঠিক কোথা থেকে করোনাভাইরাস-এর উৎপত্তি এখন পর্যন্ত তা বিজ্ঞানীরা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে পোষ্য কুকুর ও বাদুড় থেকেই এই ভাইরাসের উৎপত্তি। এখন পর্যন্ত কোন প্রতিশোধক আবিষ্কার না হওয়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য গবেষকরা ‘করোনাভাইরাস’-কে প্রাণঘাতী হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। মধ্যপ্রাচ্য এবং ইউরোপ জুড়ে এ ভাইরাসে মারা গেছে অন্তত ১৮ জন। ডব্লিউএইচও’র সহকারী মহাপরিচালক কেইজি ফুকুদা বলেন, সৌদি আরবে বেশকিছু মানুষ এ ভাইরাস আক্রান্ত হলেও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সাধারণভাবে এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে বা মহামারি হয়ে দেখা দিতে পারে এরকম কোনো আলামত এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। কিন্তু তিনি বলেন,“উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, বিভিন্ন দেশে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে দেখা গেছে,আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি থাকলে ভাইরাসটি মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমিত হতে পারে।” ফলে এ ব্যাপারে দেশে দেশে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন বলে জানান ফুকুদা। সৌদি আরবের স্বাস্থ্য বিভাগ সম্প্রতি জানায়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও দুই ব্যক্তির সন্ধান মিলেছে। এ নিয়ে দেশটির আল-আশা এলাকায় নয়জনের দেহে এ ভাইরাস সংক্রমণ নিশ্চিত হল। ২০০৩ সালে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে একই ধরনের সার্স বা ‘সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটোরি সিনড্রোম’ ভাইরাস সংক্রমণে ৭৭৫ জন মারা যায়। নভেল করোনা ভাইরাসটিও এক-জাতীয়। তবে দুই ভাইরাসের বৈশিষ্ট্যে পার্থক্য আছে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএইচও। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) নতুন এক মরণঘাতী ভাইরাসের সন্ধান পেয়েছে। করোনাভাইরাস নামের এ ভাইরাসটি একজনের দেহ থেকে আরেকজনের দেহে ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্ত ব্যক্তির দেহ থেকে শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে আরেকজনের দেহে এই ভাইরাস প্রবেশ করে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সৌদি আরবে দুইজন মারা যাওয়ার পর ফ্রান্সে নতুন করে এক ব্যক্তি এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বিশ্ববাসীকে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ব্যক্তির নিউমোনিয়া এবং কখন কখনও কিডনি অকার্যকর হয়ে যেতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভাইরাসটির ভয়াবহতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। একইসঙ্গে বিশ্বব্যাপী দ্রুত এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করেছে। সম্প্রতি হু এক খবরে জানায়,২০১২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে মোট ৩৪ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং তাদের মধ্যে ১৮ জন মারা গেছে। এ ভাইরাসটি প্রথমে সৌদি আরব থেকে জর্ডান তারপর জার্মানি,যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সে ছড়িয়ে পড়েছে। এ পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সর্বোচ্চ ৯ জন সৌদি আরবে মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আক্রান্তদের মধ্যে নারী-পুরুষ উভয়েই রয়েছে এবং তাদের বয়স ২৪ থেকে ৯৪ এর মধ্যে। ধারণা করা হচ্ছে,এই ভাইরাসটি একটি পরিবারের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। এই করোনা ভাইরাসের সঙ্গে ২০০৩ সালে এশিয়ায় ছড়িয়ে পড়া সার্স ভাইরাসের যথেষ্ট মিল আছে। মার্স করোনাভাইরাসে সংক্রমণের বিষয়ে হজযাত্রীদের সতর্ক করেছেন সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তারা হাজিদের পবিত্র স্থানগুলোয় যাওয়ার সময় ভিড়ের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। আগামী অক্টোবরে হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়া মার্স (মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) করোনাভাইরাস রোগটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা। পবিত্র হজ্জব্রত পালনে সমবেত হওয়া বিশ্বের বিভিন্নদেশের নাগরিকদের মাধ্যমে এই রোগের জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। কানাডার একটি বিশেষজ্ঞ দল হজ্জযাত্রীর সংখ্যা ও আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিশ্লেষন করে আট দেশকে এই রোগ বিস্তারের ঝুকিঁর সম্ভাবনার মধ্যে ফেলেছেন। তার মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা মধ্যপ্রাচ্যের নতুন ধরনের এই রোগটিকে জনস্বাস্থের হুমকি বিবেচনায় ‘ইমার্জেন্সী’ হিসেবে ঘোষনা না করলেও রোগটি ইতিমধ্যে যথেষ্ট আতংক ও উদ্বেগ তৈরি করেছে। কি কারনে রোগটি হচ্ছে,কিভাবে এর বিস্তার কিংবা সংক্রমন ঘটছে তা এখনো আবিষ্কৃত না হওয়ায় আতংক আরো বাড়ছে। এই পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যে ৮৮জন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪৫জনই মারা গেছে। শতকরা হিসেবে এটি অর্ধেকেরও বেশি। প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে,কেউ একজন এই রোগে আক্রান্ত হলে দ্রুতই তার পামের লোকটি আক্রান্ত হচ্ছেন। এমনকি যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছেন,সেই হাসপাতালের চিকিৎসক,নার্সরাও আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। কানাডার সেন্ট মাইকেল হাসপাতালের চিকিৎসক ড. কামরান খানের নেতৃত্বে চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের একটি দল কারোনাভাইরাস নিয়ে গবেষনা করেছে। ড. কামরান খান করোনাভাইরাস সম্পর্কে তার আতংকের কথা তুলে ধরে বলেন, হজ্জ মৌসুমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাস এর বিস্তার ঘটতে পারে। বিশেষ করে রমযানের সময় ওমরাহ করার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কোটি কোটি লোক সৌদি আরবে জমায়েত হয়। তাছাড়া সবচেয়েবড় জমায়েত ঘটে হজ্জের সময়। ড. খান বলেন,ওমরাহ বা হ্জ্জ করতে আসা বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা সৌদি আরবে অবস্থানকালে এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসে নিজেরাও আক্রান্ত হতে পারেন। তারা দেহে জীবানু নিযেই নিজ দেশে ফিরে যাবেন। কানাডীয়ান গবেষকদের গবেষনায় বলা হয় সার্স এ প্রায় ৮০০ নাগরিকের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। কানাডাসহ বিশ্বের উন্নতদেশের নাগরিকরা সার্স আক্রান্ত দেশে ভ্রমন করে আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু হজ্জ মৌসুমে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে ভ্রমনকারীদের সিংহভাগই অর্থনৈতিকভাবে অনুন্নত দেশের নাগরিক। প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে,গত বছর ১.৭৪ মিলিয়ন লোক হজ্জ করতে সৌদি আরব গিয়েছে। তারমধ্যে ৬৫ ভাগেরও বেশি স্বল্পোন্নত দেশের নাগরিক। ড. খান বলেন,স্বল্পোন্নত বা দরিদ্রদেশগুলোর সম্পদ এবং চিকিৎসা প্রযুক্তির অপ্রতুলতা রয়েছে। কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেও অনেকদেশেই তাৎক্ষণিকভাবে রোগটি শনাক্ত করে উঠতে পারবে না। আবার অনেকদেশেই এর চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। কানাডীয়ান গবেষকদের ঝুকিঁর তালিকায় থাকা দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে,ভারত,মিশর,পাকিস্তান,ব্রিটেন,কুয়েত,বাংলাদেশ,ইরান এবং বাহরাইন। এই দেশগুলোর মধ্যে বারোটি শহর সর্বাধিক ঝুকিঁপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে, কায়রো,কুয়েত সিটি,লন্ডন,বাহরাইন,বৈরুত,মুম্বাই,ঢাকা,করাচী,ম্যানিলা কোজিখুদে,ইস্তাম্বুল এবং জাকার্তা। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় মার্স (মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৪৫ জনের মৃত্যুর পর দেশটির সরকার হজযাত্রীদের জন্য কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এতে বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক হজযাত্রী অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ছেন। অবশ্য মার্স করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় সৌদি সরকার বৃদ্ধ,অন্তঃসত্ত্বা নারী ও শিশু এবং হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, কিডনি ও শ্বাসতন্ত্রের জটিলতায় যাঁরা ভুগছেন,তাঁদের এ বছর হজ পালন থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে যাঁরা হজ করতে যান,তাদের ৬০ ভাগ বৃদ্ধ এবং হৃদরোগ,ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। নতুন আবিষ্কৃত এক ধরনের ভাইরাসের কবলে পড়তে যাচ্ছে মানব সভ্যতা,যার নাম হচ্ছে “করোনাভাইরাস”। জর্ডনে,গ্রেট ব্রিটেনে,জার্মানীতে ও ফ্রান্সে এক নতুন ধরনের করোনাভাইরাস লক্ষ্য করা গিয়েছে. সৌদী আরবে,যেখানে এই অসুখের প্রাদুর্ভাব প্রথম নথিবদ্ধ হয়েছিল,সেখানে এক বিশেষ সম্মেলন হয়েছে,যার অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের উদ্বেগ গোপন করেন নি,আরও বেশী করে তথ্য সেই ধারণার স্বপক্ষেই যাচ্ছে যে,নতুন করোনাভাইরাস এক জনের কাছ থেকে অন্য জনের কাছে যেতে পারে। সৌদী আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রীর পরামর্শদাতা আরাভী খালেদ মার্গালানি রেডিও রাশিয়ার কাছে এই রোগের উপসর্গ নিয়ে বলেছেন, “এই করোনাভাইরাস,যার থেকে সৌদী আরবে ১৫ জন মারা গিয়েছেন,তা আগে থেকে জানা কোনও ভাইরাসের মতো নয়. আপাততো,এটার বিরুদ্ধে কোনও ফলপ্রসূ টিকা বা ওষুধ বার করা সম্ভব হয় নি। তাছাড়া,এর একেবারেই অন্য ধরনের উপসর্গ,আমাদের চিকিৎসা বিজ্ঞান আপাততো নির্দিষ্ট করতেই পারে নি। আর এটাই সবচেয়ে ভয়ঙ্কর,কারণ আমরা জানি না,দেশের জনগনকে কি ধরনের উপসর্গের বিষয়ে সাবধান করা দরকার”। যখন রোগীরা ক্লিনিকে আসেন,তখন তাঁরা যা নিয়ে অভিযোগ করে থাকেন,তা হলো খুব জ্বর ও খুব জোরে কাশি,আর পরীক্ষা করে দেখা যায় যে,একই সঙ্গে দুটি ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে. কিছু সময় পরে তাদের প্রয়োজন পড়ে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে অক্সিজেন দিয়ে রাখার। এখানে একমাত্র ইতিবাচক ব্যাপার হল যে,আপাততো বাধ্যতা মূলক ভাবে সংক্রমণের শর্ত অনেক সময় ধরে ছোঁয়ার মধ্যে থাকা। এই প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার যোগাযোগ বিভাগের চিকিত্সক গিওর্গি হার্টল বলেছেন, “এখানে প্রধান ধাঁধা হলো, কার কাছ থেকে ও কি পথে এই ছোঁয়াচে রোগ ছড়ায়, আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি,আর বোঝার চেষ্টা করছি। কিন্তু আট মাস সময় ধরে কাজ করেও কিছু বোঝা যায় নি। আর যতক্ষণ না বোঝা যাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত সম্ভাবনা নেই এক জনের কাছ থেকে অন্য জনের কাছে রোগ সংক্রমণের পথ বন্ধ করা। এই ভাইরাস খুবই বিপজ্জনক”। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে,যদি ভাইরাস নিজের অভিযোজন চালু রাখে,তবে এর ছড়িয়ে পড়া এক ভয়ানক মহামারীর আকার নিতে পারে। রাশিয়ার চিকিৎসা বিজ্ঞান একাডেমীর ভাইরাস সংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বিজ্ঞানী ইউরি গেন্দন এই আতঙ্কের প্রধান কারণ আলাদা করে বলেছেন, “পুরনো ভাইরাসও একজন মানুষের কাছ থেকে অন্যজন পেয়েছিল। কিন্তু পুরনো ভাইরাস থেকে মাঝারি ধরনের বিপজ্জনক রোগ হচ্চ্ছিল, যাতে মৃত্যুর সংখ্যা খুবই কম ছিল,যদিও কিছু নির্দিষ্ট জটিলতা দেখা যাচ্ছিল। আর এই করোনাভাইরাস এক জনের কাছ থেকে অন্য জনের কাছে গিয়ে খুবই গুরুতর অসুখ তৈরী করে,যা মৃত্যুর কারণও হতে পারে”। আপাততো,যখন ডাক্তাররা সৌদি আরবের ভাইরাস নিয়ে চিন্তা করছেন,তখন চিন থেকে আমাদের দিকে অন্য এক বিপদ এগিয়ে আসছে। আবারও তথাকথিত বার্ড ফ্লু রোগের খবর এসেছে। কিন্তু তা আবার অন্য ধরনের ভাইরাসের, যা H5N1 নয়, যা আট বছর আগে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল। আপাততো এই ভাইরাস এক জনের কাছ থেকে অন্য জনের কাছে ছড়িয়ে যায় না। কিন্তু এটা কী শুধু সময়ের প্রশ্ন?
শুভাশিস ব্যানার্জি শুভ: প্রধান সম্পাদক,এসবিডি নিউজ24 ডট কম।।