জামায়াতের কর্মসূচীঃ ৩ আগস্ট বিক্ষোভ এবং ১২ ও ১৩ আগস্ট দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার লাগাতার হরতাল

জামায়াতের কর্মসূচীঃ ৩ আগস্ট বিক্ষোভ এবং ১২ ও ১৩ আগস্ট দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার লাগাতার হরতাল

নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ তরিকত ফেডারেশন কর্তৃক একটি রিট পিটিশানের পরিপেক্ষিতে হাইকোর্ট ডিভিশনের একটি বৃহত্তর বেঞ্চ বিভক্তি রায়ে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ ও রায় প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ১ আগস্ট বিবৃতি প্রদান করেছেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’র  কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের মোঃ ইব্রাহিম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের প্রধান ইসলামী দল। সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদের অধীনে জামায়াত একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে কাজ করার অধিকার রাখে। এই অধিকার অব্যাহত আছে। আজ মাননীয় হাইকোর্ট ডিভিশনের একটি বৃহত্তর বেঞ্চে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের যে রায় ঘোষিত হয়েছে তা একটি ভুল রায়। এ রায়ের মাধ্যমে সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের প্রতিফলন ঘটেছে। এই রিট আবেদনটি সম্পূর্ণ অপরিপক্ক, কারণ নিবন্ধনের পুরো প্রক্রিয়াটি এখনো নির্বাচন কমিশনের বিবেচনাধীন। এ অবস্থায় রিট চলতে পারে না। ভারত, ইংল্যান্ড এমনকি আমাদের দেশেও এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের অনেক নজির রয়েছে। জামায়াতের আইনজীবীগণ সে সব নজির আদালতে উপস্থাপন করেছেন। কিন্তু মাননীয় আদালত সে সব অগ্রাহ্য করেছেন। ২০১০ সালের জানুয়ারী মাসে নির্বাচন কমিশন তাদের একটি মেমোতে উল্লেখ করেন যে, দু’টো দল ছাড়া বাকি যে ১১টি দলকে নিবন্ধন দেয়া হয়েছে সবারই গঠনতন্ত্র ত্রুটিপূর্ণ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর সাথে সাংঘর্ষিক। মাননীয় আদালত জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে অন্যান্য দলেরও নিবন্ধন বাতিলের যে দরজা উন্মুক্ত করলেন তা গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের জন্য মারাত্মক হুমকী বলে আমরা মনে করি। পবিত্র রমজান মাসের শেষ দিকে এসে মহামান্য হাইকোর্টের ছুটির ঠিক আগের দিন আদালত চলার সর্বশেষ মুহূর্তে এই মামলার রায় ঘোষণা একটি গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। সরকারের এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে কোন কর্মসূচী দিলে তাতে জনগণের কষ্ট ও দুর্ভোগ মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পাবে। সরকার জনগণকে কষ্টের মধ্যে ফেলার চক্রান্ত করেছে। সরকার জামায়াতকে নিয়ে যে ছিনিমিনি খেলছে তা গণতান্ত্রিক কর্মসূচীর মাধ্যমেই কঠোরভাবে মোকাবেলা করা হবে। পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মানুষের দুঃখ এবং কষ্টের কথা বিবেচনা করে আমরা এই মুহূর্তে হরতালের মত কর্মসূচী থেকে বিরত রইলাম। তবে এই অসাংবিধানিক, অগণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকার পরিপন্থী এ রায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে। আমি সরকারের সকল ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ও জামায়াতকে নিশ্চিহ্ন করার সরকারী পরিকল্পনার বিরুদ্ধে আগামী ৩ আগস্ট শনিবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচী এবং ১২ ও ১৩ আগস্ট সোম ও মঙ্গলবার দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার লাগাতার সর্বাত্মক হরতাল কর্মসূচী ঘোষণা করছি। সকল কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্য আমি দেশবাসীর সহযোগীতা কামনা করছি।”


নিজস্ব প্রতিনিধি