সরকার চাইলে যমুনা টিভির সম্প্রচার করতে পারবে
শহিদুল ইসলাম,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ যমুনা গ্রুপের মালিকানাধীন যমুনা টেলিভিশনের সম্প্রচারের বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছে আপিল বিভাগ। ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর যমুনা কর্তৃপক্ষের করা আপিল আংশিক মঞ্জুর করে সংক্ষিপ্ত রায় দেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পাচঁ সদস্যের আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার এ রায়ের ৭০ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশ করা হয়। রায়ে বলা হয়েছে এক মাসের মধ্যে যমুনা টিভির যন্ত্রপাতি ফেরত দিতে হবে। সরকার চাইলে যমুনা টিভির সম্প্রচার করতে পারবে। রায়ে আরো বলা হয়েছে, যমুনা টিভি সম্পর্কে রুল নিষ্পত্তি করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ে অবৈধ কিছু পাওয়া যায়নি। একইসঙ্গে এই টিভির সম্প্রচার বন্ধের জন্য বিটিআরসি যা করেছে তাতেও কোনো অনিয়ম খুঁজে পাওয়া যায়নি। এদিকে যমুনা টিভি সম্পর্কে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের আগেই সোমবার তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনাপত্তিপত্র দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ১৫ অক্টোবর দেশের সম্প্রচার ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিনিয়োগে পরীক্ষামূলক সম্প্রচারে আসে যমুনা টেলিভিশন। সম্প্রচারের এক মাস পর ১৯ নভেম্বর মধ্যরাতে সরকারি আদেশে বিটিআরসি (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) চ্যানেলটির পরীক্ষামূলক সম্প্রচার বন্ধের পাশাপাশি মালামালও জব্দ করে। এ সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরের ২২ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করে যমুনা টিভি কর্তৃপক্ষ। আদালত বিটিআরসির সিদ্ধান্তকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে। ২০১০ সালের ২০ মে হাইকোর্ট রুলটি খারিজ করে বিটিআরসির সিদ্ধান্তকে বৈধতা দিয়ে রায় দেন। বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের গঠিত বেঞ্চ ওই রায় দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে যমুনা টিভি আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল দায়ের করে। ওই বছরের ৫ অক্টোবর আপিল বিভাগ যমুনা টিভির লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন। আপিলের শুনানি শেষে ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ তা মঞ্জুর করেন।