পৃথিবী নীলাভ দেখায় যে কারণে…
জুডিথ ও তাঁর দল গ্রিনল্যান্ডে এমন এক পাথরের সন্ধান পান যার বয়স ছিল ৪ দশমিক ১ বিলিয়ন বছর। অর্থাৎ পৃথিবীর সৃষ্টি হবার মাত্র ৪০০ মিলিয়ন বছর পরেই এই পাথরটি গঠিত হয়েছিল। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, সোনা ও প্লাটিনামের মতো ধাতু যারা গলন্ত লোহার সাথে মিশে যেতে সক্ষম ছিল, একারণে এদেরকে লোহা সমৃদ্ধ বিভিন্ন আকরিকের সাথেই প্রকৃতিতে পাওয়া যায়। পৃথিবীর উপরিভাগে এই ধাতুগুলোর প্রাচুর্য থেকে ধারণা করা হয়, ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়া উল্কা আর ধূমকেতুর কারণেই ভূ-পৃষ্ঠে এই ধাতুগুলো এত বেশি। বিজ্ঞানীদের মতে, পৃথিবীর বুকে পানির এই প্রাচুর্যের কারণও উল্কা আর ধূমকেতু। এরা এদের সাথে করে অন্যান্য ধাতুর সাথে পানিকণাও বয়ে নিয়ে আসতো বরফ আকারে।
জুডিথের পাওয়া প্রাচীন এই পাথর আমাদেরকে এই ধারণাই দেয় যে, পৃথিবীর পৃষ্ঠের যে আবরণ আছে তাতে লোহা ও লোহার সাথে সহজেই মিশে যেতে পারে এরকম ধাতুর পরিমাণই বেশি। আর এই পাথর এটাও নির্দেশ করে যে, এই আবরণটি তৈরি হয়েছিল ৪ দশমিক ১ বিলিয়ন বছর আগে। লোহা ও লোহাসমৃদ্ধ বিভিন্ন খনিজ ধাতুর উপস্থিতির কারণে পৃথিবীকে বাইরে থেকে দেখতে ‘নীল গ্রহ’ বলে মনে হয়।
জুডিথ আরো বলেন, এই পাথরটি পৃথিবীতে প্রথম কখন প্রাণের উন্মেষ ঘটেছিল, তা জানতেও আমাদেরকে সহযোগিতা করবে।