পৌনে এক কিলোমিটার রাস্তার জন্য ঘুরতে হয় ১৪ কিলোমিটার পথ!
আহমেদ নাসিম আনসারী,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের সিঙ্গা গ্রামে মাত্র পৌনে এক কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশার কারনে গ্রামবাসিকে ১৪ কিলোমিটার পথ ঘুরে হরিণাকুন্ডু শহরে আসতে হয়। এলাকাবাসী জানায় হরিণাকুন্ডু উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের গুরত্বপূর্ণ সড়ক ভালকী বাজার হতে সিঙ্গা সড়ক। সড়কটির দৈর্ঘ্য মাত্র আট কিলোমিটার। এই আট কিলো মিটার সড়কের মধ্যে সাড়ে তিন কিলোমিটার পৌরসভার ও সাড়ে চার কিলোমিটার এলজিইডির। ২টি ইউনিয়ন এবং পৌর এলাকাসহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের মানুষ প্রতিনিয়ত এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু পানি কাদায় সড়কের অবস্থা বেহাল। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা কাদা ভেঙ্গে হরিণাকুন্ডু শহরে পড়ালেখা করে থাকে।
১৯৯৬-৯৭ অর্থবছরে রাস্তাটি পাকা করণের কাজ শুরু হয়। কিন্তু দেড় যুগে মাত্র সোয়া ৬ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করনের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি পৌনে এক কিলোমিটার রাস্তা পাকারনের অভাবে এ অঞ্চলের সাধারন মানুষ বর্ষা মৌসূমসহ বছরের প্রায় এক তৃতীয়াংশ সময় কাঁদাপানিতে একাকার হয়ে সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সিঙ্গা গ্রামের প্রায় দেড়’শ মানুষ দেশ এবং দেশের বাইরে চাকরী করেন। অথচ আধুনিক সভ্যতার যুগে রাস্তায় পানি কাঁদার কারণে অমানবিক ভাবে যাতায়াত করে থাকেন। কোন মুমুর্ষ রোগীকে জরুরী চিকিৎসা দেয়ার প্রয়োজন হলে তাকে লাশ টানা খাটিয়ায় করে মৃত মানুষের ন্যায় কাঁধে বহন করে হাসপাতালে নিতে হয়। এভাবে বহনকৃত মুমূর্ষ কয়েকজন রোগী হাসপাতালে পৌছানোর আগেই চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন। সড়কটির কাচা অংশে মাঝে মধ্যেই ছিনতাই, ডাকাতিসহ নানা প্রকার জনজীবন বিপন্নকারী কাজ সংঘটিত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকার কাউন্সিলর আব্দুল মুন্নাফ বলেন, প্রায় দুই যুগ ধরে গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি পাকা করনের জন্য এলাকাবাসি জনপ্রতিনিধিদের নিকট জোর দাবি জানিয়ে আসছে কিন্তু ভোটের সময় প্রতিশ্রুতি দিলেও ভোটের পর রাস্তা পাকা করনের কথা ভুলে যান।
বিষয়টি নিয়ে হরিণাকুন্ডু এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী সফি উদ্দীন আহম্মেদ জানান, রাস্তা করার এখতিয়ার জনপ্রতিনিধিদের। সংসদ সদস্যরা তালিকাভুক্ত করে দিলেই রাস্তাটি করা সম্ভব হবে। তবে এমপিদের যে ৮ কোটি টাকার বরাদ্দ এসেছিল তাতে রাস্তাটি অর্ন্তভুক্ত না হওয়ায় এলাকাবাসি চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।