১১টি রুটে বিমান অলাভজনক অবস্থায় রয়েছেঃ ফারুক খান
সৌরভ চৌধুরী,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ ১১টি রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স অলাভজনক অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসরকারি বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান। ১৫ সেপ্টেম্বর (রোববার) জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশনের ২য় দিনে টেবিলে উত্থাপিত তারকা চিহ্নিত প্রশ্ন ‘বাংলাদেশ বিমানের কোন কোন রুটে লাভজনক ও কোন কোন রুটে অলাভজনক’ এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন। লাভজনক রুটগুলো সম্পর্কে ফারুক খান বলেন,”লন্ডন, রোম, দোহা,দুবাই, ব্যাংকক, দিল্লী, কলকাতা, হংকং, কাঠমুন্ডু, সিঙ্গাপুর ও করাচী রুটে বিমান অলাভজনক রয়েছে। এছাড়া “মাসকট, আবুধাবি, জেদ্দা, রিয়াদ, কুয়েত ও কুয়ালালামপুর রুটে বিমান লাভজনক রয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।” বিমানকে লাভজনক করার জন্য সরকার কোন পরিকল্পনা করেছে কি না অপর এক প্রশ্নে জবাবে মন্ত্রী বলেন,“সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে বিমানকে যুগোপযোগী এয়ারলাইন্স হিসেবে গড়ে তুলতে একটি ‘টু ইয়ারস স্ট্রাটেজিক প্ল্যান ও ১০ বছর মেয়াদী একটি বাণিজ্যিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।” পরিকল্পনার মধ্যে পুরাতন উড়োজাহাজ প্রতিস্থাপন এবং বহর সম্প্রসারণ রয়েছে উল্লেখ করে ফারুক খান বলেন,“স্বল্প মেয়াদের পরিকল্পনায় রয়েছে ২০১৪-২০১৫ সালের মধ্যে বিমান বহরকে দ্বিগুণ করা হবে। অর্আৎ বর্তমান বহরে যুক্ত ৮টি উড়োজাহাজ থেকে ১৬ টিতে উন্নীত করা হবে। ২০২৩-২০২৪ সালের মধ্যে বৃহৎ, মাঝারি ও ছোট আকারের উড়োজাহাজসহ বিমান বহরকে ৩০ টি উড়োজাহাজে উন্নীত করা হবে।” ফ্লাইট সিডিউল উন্নয়ন সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন,“নতুন প্রজন্মের উড়োজাহাজ সংযোজনের মাধ্যমে ও ফ্লাইট পরিচালনার জন্য নির্ধারিত উড়োজাহাজের টেকনিক্যাল গ্রাউন্ডিং এর ক্ষেত্রে সিডিউল রক্ষায় একটি উড়োজাহাজ স্ট্যান্ডবাই রাখা হবে।” রাজস্ব আয় বৃদ্ধির বিষয়ে ফারুক খান বলেন, “২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরের মধ্যে ভাড়া বৃদ্ধি না করে বিমানের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে রেভিনিউ ম্যানেজমেন্ট সিষ্টেম প্রবর্তন এবং নিজস্ব জনবলের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।”
তিনি আরো বলেন, “বিজনেস ক্লাস যাত্রী আকর্ষণের জন্য অন-বোর্ড সার্ভিস, ফ্রিকুয়েন্ট ফ্লাইয়ার প্রোগ্রাম ও অন-লাইন চেকইন কর্যক্রম নেয়া হবে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে বিমান পরিচালনার জন্য বিভিন্ন বিমান সংস্থার সাথে কোড শেয়ার ও জয়েন ফ্রাইটারসহ বিভিন্ন বানিজ্যিক চুক্তি সম্পাদন করা হবে।”
এদিকে কার্গো হ্যান্ডেলিং কাজে সেমি অটোমেটেড সিষ্টেমের মাধ্যমে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করা হবে জানিয়ে ফারুক খান বলেন, “ভাড়া বৃদ্ধির মাধ্যমেও কার্গো হ্যান্ডেলিং বাবদ আয় বৃদ্ধি করা হবে। এবং নিজস্ব জায়গায় কার্গো বিল্ড ফ্যাসিলিটিস তৈরি করে এ খাতে আয় বৃদ্ধির পরিকল্পনা করা হয়েছে।” এছাড়া ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে ফারুক খান বলেন,“২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে বিপনন কর্মী খাতে ব্যয়, রিজার্ভেশন ও ইকুইপমেন্ট খাতে ব্যয় কমানো হবে। এছাড়া ফ্লাইট পরিচালনায় বিশেষ কারিগরি কৌশল অবলম্বন এবং প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ব্যবহার করে উড়োজাহাজের জ্বালানি খাতে ব্যয় সাশ্রয় করা হবে।”
প্রসঙ্গত, এক সংবাদ সম্মেলনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এমডি কেভিন স্টিল বলেছিলেন, চলতি অর্থ বছরে বিমানের ক্ষতি হয়েছে ২৫ মিলিয়ন ডলার। যা আগামীতে ১০ মিলিয়ন ডলারে কমে আসবে বলেও জানানো হয়েছে।