শৈলকুপায় ৪ বছরে আওয়ামী লীগ গোষ্ঠি দ্বন্দ্বে ১০ নেতাকর্মী খুন
আহমেদ নাসিম আনসারী,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দলের গোষ্ঠি দ্বন্দ্বে বিগত সাড়ে ৪ বছরে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপায় গ্রাম পর্যায়ে সংঘর্ষে ১০ জন নেতাকর্মী খুন হয়েছেন। আওয়ামী লীগের দু’ গ্রুপের সংঘর্ষে বেশি কর্মী খুন হয়েছে শৈলকুপায় ২০০৯ সালের ১৮ এপ্রিল শৈলকুপার বিত্তিদেবী রাজনগর গ্রামে আওয়ামী লীগের দু’ গ্রুপের সংঘর্ষে আজিম উদ্দিন মুন্সি ও আফিল উদ্দিন নামে প্রবীণ দু’ কর্মী খুন হন। এর কয়েক দিন আগে ব্রহ্মপুর গ্রামের ইতাহার আলি খুন হন। ২০০৯ সালের ২৩ জুন ধাওড়া গ্রামে আওয়ামী লীগের দু’ গ্রুগে সংঘর্ষে হাফিজ উদ্দিন খুন হন। আহত হয় প্রায় ৫০ জন। ২০১০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি গোবিন্দপুর গ্রামের ফজলুর রহমান দু’ গ্রুপের সংঘর্ষে খুন হন। ২০১১ সালের ১০ আগষ্ট আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষে অচিন্তপুর গ্রামে রোজদার আলি নামে এক দলীয় কর্মী খুন হন। আহত হয় অর্ধশত। ২১ জুলাই নিজ পলাশী গ্রামে দলের গোষ্ঠি দ্বন্দ্বের কারণে সাইফুল ইসলাম নামে এক কর্মী খুন হন। এ বছরের মে মাসে দলের প্রতিপক্ষ গ্রুপের হামলায় খুন হন আড়ুয়াকান্দি গ্রামের দলীয় কর্মী টুলু শিকদার। ২০১১ সালের ১৮ এপ্রিল শৈলকুপা শহরে আওয়ামী লীগের দু’ গ্রুপে সংঘর্ষে দলীয় কর্মী আব্দুর রশিদ খুন হন। চলতি বছরের ১২ জুলাই সাধুখালী গ্রামে আওয়ামী লীগের দু’ গ্রুপে সংঘর্ষে ফয়েজ আলি নামে এক কর্মী খুন হন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আজিজুর রহমান দাবি করেন, উপজেলা পর্যায়ে দলে গ্রুপিং নেই। দলে কয়েকজনের দ্বন্দ্বের কারণে খুন হয়েছে।