৯ অক্টোবর জাতীয় তামাকমুক্ত দিবসঃ সারাদেশে উদযাপনের আহবান
এসবিডি নিউজ24 ডট কম,ডেস্কঃ আগামী ৯ অক্টোবর ২০১৩, প্রতিবছরের মত এ বছরও উদযাপিত হতে যাচ্ছে ‘জাতীয় তামাকমুক্ত দিবস’। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে “তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন জানি এবং আইনকে মানি”। এ বছর বহুল প্রত্যাশিত ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন ২০১৩’ সম্পর্কে বহুল প্রচারের লক্ষ্যে এ প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে দিবসটি উদযাপনের জন্য সারাদেশে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট ও জোটভূক্ত সহযোগী সংগঠনগুলো ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। জাতীয় তামাকমুক্ত দিবস উদযাপনে গণমাধ্যমকর্মীসহ দেশের সর্বস্তরের মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।
৫ অক্টোবর (শনিবার) সকাল ১১টায় বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এ আহবান জানানো হয়। ১৪তম বষপূর্তি ও জাতীয় তামাকমুক্ত দিবস পালণ উপলক্ষে প্রস্তুতি কমিটির সভায় উপস্থিত ছিলেন একলাবের নির্বাহী পরিচালক তারিকুল ইসলাম, মানবিক-এর রফিকুল ইসলাম, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুল আলম, জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি (নাটাব) এর ব্যবস্থাপক এ কে এম খলিল উল্লাহ, গ্রীণ মাইন্ড সোসাইটির চেয়ারম্যান আমির হাসান, র্যাক এর নির্বাহী পরিচালক এটিএম শহিদুল ইসলাম, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান ইবনুল সাইদ রানা, সিরাক বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এসএম সৈকত, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর ন্যাশনাল এডভোকেসি অফিসার সৈয়দা অনন্যা রহমান।
সভায় অবহিত করা হয়, গত ২৯ এপ্রিল সংশোধিত এ আইনের উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে;
১. বিড়ি-সিগারেটের পাশাপাশি সাদাপাতা-জর্দা-গুলসহ চর্বনযোগ্য তামাককে আইনের আওতায় আনা হয়েছে
২. বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে ছবিসহ সতর্কবাণী প্রচলনের বিধান যুক্ত হয়েছে
৩. রেস্টুরেন্ট, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিল্প কারখানাকে ধূমপানমুক্ত স্থানের আওতায় আনা এবং ধূমপানমুক্ত স্থানে ধূমপানের দায়ে জরিমানা ৩০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া ধূমপানমুক্ত স্থানে সাইন বোর্ড স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট পাবলিক পরিবহন ও পাবলিক প্লেসের মালিক/ব্যবস্থাপককে দায়বদ্ধ করা হয়েছে।
৪. আইন লঙ্ঘনের দায়ে তামাক কোম্পানির জরিমানা ১ লক্ষ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে
৫. নাটক-চলচ্চিত্রসহ এ জাতীয় সব অনুষ্ঠানে ধূমপানের দৃশ্য প্রদর্শণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে
তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সম্পর্কে বহুল প্রচারের সুবিধার্থে গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করা হয়। পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন মেনে চলার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানানো হয়। পাশাপাশি আইন লঙ্ঘণকারী তামাক কোম্পানিগুলোকে শাস্তি প্রদানের দাবি জানানো হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের ৯ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট। বর্তমানে সারাদেশে ৭০০ সংগঠনের এক সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনে পরিণত এ সংগঠন ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন বাস্তবায়নে গঠিত জাতীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের টাস্কফোর্স কমিটিরও সদস্য। জোটের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনটি দেশে জাতীয় তামাকমুক্ত দিবস হিসাবে উদযাপিত হচ্ছে।