রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় ককটেল বিস্ফোরণ
নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ রাজধানীর শাহবাগ মোড়, পুরানা পল্টন, কারওয়ান বাজার, কাঁটাবন, সেগুনবাগিচা ও শেওড়াপাড়ায় ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কাউকে আটক করতে পারেনি। ২৫ অক্টোবর (শুক্রবার) সন্ধ্যা ৬টার দিকে শাহবাগে ওভার ব্রিজের নিচে পুলিশের রিজার্ভ ভ্যানের পাশে দুইটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ওভার ব্রিজের নিচে রাখা পুলিশ ভ্যানের পাশে পর পর দুইটি ককটেলের বিস্ফেরণ ঘটে। এতে ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এসময় শাহবাগ থানার সামনে দায়িত্বরত পুলিশের বন্দুক থেকে মিসফায়ার হলে এক পুলিশ সদস্য আহত হন। একই সময় পুরানা পল্টনের কস্তুরি হোটেলের সামনে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ওই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে, শেওড়াপাড়ায় পর পর বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকাল সোয়া ৩টার দিকে শ্যাওড়াপাড়া ওভার ব্রিজের নিচে পাশের একটি গলি থেকে অজ্ঞাত কয়েকজন যুবক এসে পর পর সাত থেকে আটটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। এতে স্থানীয় লোকজন ও পথচারীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এসময় স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা ইস্রাফিল আলম রানা নামে এক যুবককে ধরে পিটিয়ে আহত করে পুলিশে সোপর্দ করে। তবে বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত না থাকায় পুলিশ ওই যুবককে ছেড়ে দেয়। রাত ৯টার দিকে শাহবাগ মোড়ে আবারো পাঁচটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। মুহূর্তের মধ্যে পুরো এলাকা ধোয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। একই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এফ রহমান হলের সামনে পরপর দুইটি ককটেলের বিস্ফারণ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এম এ জলিল বলেন, ‘কে বা কারা ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে।’ এদিকে সেগুনবাগিচায় প্রাইভেটকারে ও কারওয়ান বাজারে ওয়াসা ভবনের সামনে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা একটি প্রাইভেটকারে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।’ তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান বলেন, ‘ওয়াসা ভবনের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাস থামলে কয়েকজন যুবক সেটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তা নিভিয়ে ফেলা হয়।’