তারেক খালাস,মামুনের জেল ও জরিমানা
বিশেষ প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ ২০ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে দুদকের(দুর্নীতি দমন কমিশন) দায়েরকৃত মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে খালাস দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে, একই মামলায় তার বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারদণ্ডসহ ৪০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. মোতাহার হোসেন ১৭ নভেম্বর (রবিবার) এ রায় দেন।
এদিকে রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র আদালত চত্বরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। সকাল থেকে আদালত চত্বর ও এর আশপাশের এলাকায় ছিল পুলিশ ও র্যাবের কড়া অবস্থান। আদালতের প্রবেশের ক্ষেত্রে তল্লাশি করা হয়েছে। যে কোনো ধরনের নাশকতামূলক কর্মকা- প্রতিহত করতে প্রস্তুত ছিল পুলিশের সাঁজোয়া যান এপিসি ও জলকামান। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা কোনো মামলার এটিই প্রথম রায়। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও বর্তমান মহাজোট সরকারের আমলে তাঁর বিরুদ্ধে প্রায় ১৬টি মামলা দায়ের করা হয়। অর্থপাচার মামলা তার একটি। এর আগে ২০১১ সালের ২৩ জুন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে অবৈধ অর্থপাচারের মামলায় ছয় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই সঙ্গে ৩৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। কোকোও ওই মামলায় পলাতক। তারেক রহমান এ মামলায় পলাতক রয়েছেন। তাঁর অনুপস্থিতিতেই বিচারকাজ শেষ হয়েছে। চলতি বছরের ২৬ মে তৎকালীন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ প্রয়াত মো. মোজাম্মেল হোসেন ইন্টারপোলের মাধ্যমে তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। কিন্তু তাঁকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। তারেক ব্রিটেনে আছেন। ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ক্যান্টনমেন্ট থানায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলা করে দুদক। অভিযোগে বলা হয়, মামুন তখনকার প্রধানমন্ত্রীর ছেলে তারেক রহমানের প্রভাব খাটিয়ে টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে নির্মাণ কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের কাছ থেকে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা ঘুষ নেন। সিঙ্গাপুরে একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এই টাকা লেনদেন হয়। ওই টাকার কিছু অংশ তারেক রহমান ভিসা কার্ডের মাধ্যমে খরচ করেছেন। কিন্তু ওই টাকা সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থায় দেখানো হয়নি। এ মামলায় ২০১০ সালের ৬ জুলাই তারেক রহমান ও মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। পরে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তারেক রহমানকে পলাতক দেখিয়ে অভিযোগ গঠন করা হয়। তারেক ও তার বন্ধু মামুনের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ৬ জুলাই এই মামলার বিচার শুরু হয়। গত বছরের জুলাই মাসে অভিযোগপত্র আদালতে দেয়া হয়। চলতি বছরের ২৪ অক্টোবর বাদি ও আসামি পক্ষের সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষের পর রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়, যা শেষ হয় বৃহস্পতিবার।