‘জাগ্রত জনতা’ নামের একটি সংগঠন শাহবাগে অনশন পালন করছে
সৌরভ চৌধুরী,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ আগুনে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা, বোমা ও ককটেল নিক্ষেপসহ সব সহিংতা ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে জাগ্রত জনতা নামের একটি সংগঠন। নবগঠিত সংগঠনটির আহ্বায়ক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক জাকিয়া কামাল জানান, গত ২৮ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাতে শাহবাগে বাসে আগুন লাগিয়ে দিয়ে ১৮ ব্যক্তিকে দগ্ধ করার খবরটি তাঁকে নাড়া দেয়। পরদিন শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে গিয়ে পুড়ে যাওয়া মানুষদের দেখে অনুধাবন করেন, এসব সহিংস কাজের প্রতিবাদ করা উচিত। শনিবার সকাল থেকে তিনি জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান করে অনশন পালন শুরু করেন, যা শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অব্যহত আছে।
জাকিয়া কামাল বলেন, শুরুতে তিনি একাকী প্রতিবাদ শুরু করলেও পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, বিভিন্ন লেখক ও মুক্তিযোদ্ধা তাঁর সঙ্গে যোগ দেন। এদের সবাইকে নিয়ে ওই দিনই তিন জাগ্রত জনতা নামের সংগঠনটি তৈরি করেন। জাগ্রত জনতা শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে শাহবাগে অবস্থান নিয়ে পরে মানববন্ধনও করে। বিজয়ের মাস উপলক্ষে রোববারের প্রথম প্রহরে মোমবাতি জ্বালানো হয়। আজ সকালেও একই স্থানে মানববন্ধন করেছে সংগঠনটি। আগামীকাল সোমবার সকালে অনশন কর্মসূচী শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর সংগঠনটি পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবে। প্রতিবাদে অংশ নেয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আমিনুল এহসান বলেন, বিবেকের তাড়নায় এ কর্মসূচীতে অংশ নিয়ে বর্তমান রাজনৈতিক সহিংসতার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো কর্মসূচী দিতে চায় তাতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু তা কেন সহিংস হবে? সাধারণ মানুষ মারা যাবে, আর নেতারা বসে বসে তামাশা দেখবে তা মেনে নেয়া যায় না। কর্মসূচীর উদ্যোক্তা জাকিয়া কামাল বলেন, দুই নেত্রী আমাদের মায়ের মতন। মা হলে কিভাবে সন্তানদের এমন অবস্থা মেনে নেন তাঁরা? তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা তো তাঁরাই দেবেন। তাঁরা পারস্পারিক সমঝোতার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেবেন। আর একটি মানুষও যেন রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে মারা না যায়, সে উদ্যোগ নেয়ার জন্য তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।