আমরা অর্থনৈতিকভাবে দরিদ্র হতে পারি কিন্তু মেধাহীন নইঃ শিক্ষামন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ বলেছেন, তরুণ প্রজন্মকে আধুনিক শিক্ষায় গড়ে তুলতে হলে প্রযুক্তি শিক্ষার প্রতি বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে কারিগরি শিক্ষাকে আরো সম্প্রসারণ করতে হবে এবং মৌলিক আধুনিক শিক্ষাপদ্ধতি প্রণয়ন করতে হবে। আর বর্তমান সরকার সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ১৯ এপ্রিল (শনিবার) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘১৯তম জাতীয় সভা ও বার্ষিক সাধারণ সভা-২০১৪’’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জুলোজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জুলোজি ডিপার্টমেন্টের যৌথ উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা অর্থনৈতিকভাবে দরিদ্র হতে পারি। কিন্তু মেধাহীন নই। আমাদের তরুণ-তরুণীরা অনেক বেশি মেধাবী। তাদের পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা দিতে হবে, যাতে তারা মেধার পূর্ণ বিকাশ ঘটাতে পারে। তিনি বলেন, আমরা চাই একটি উন্নত দেশ গড়তে। বৈষম্যহীন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে। দেশকে একটি আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে প্রয়োজন তরুণ-প্রজন্মকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলা। তাদেরকে আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। যাতে আগামীর বাংলাদেশে তারা নেতৃত্ব দিতে পারে।
তিনি আরো বলেন, আজকে পড়াশুনা করে শুধু বড় বড় ডিগ্রি অর্জন করলে হবে না। শিক্ষার্থীদের নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞানচর্চা, গবেষণা, নতুন নতুন জ্ঞান অর্জনের জায়গা। শিক্ষার্থীদের সেসব বিষয়ে বেশি বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। যার মাধ্যমে দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে। মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থী যদি নিজেকে জ্ঞান অর্জনের পাশাপাশি দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারে তাহলে চাকরি সেক্টর বড় কথা নয়। শিক্ষার্থী নিজের অবস্থান নিজেই তৈরি করে নিতে পারবে।
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থাকে এমনভাবে সাজাতে হবে যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দ মত পেশা বেছে নিতে পারে। আমরা যদি একটি সমৃদ্ধ জাতি গঠন করতে চাই তাহলে সেক্ষেত্রে প্রয়োজন শিক্ষা ব্যবস্থার মান উন্নয়ন। প্রয়োজন উন্নতমানের সিলেবাস। জুলোজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান মো. ইকরাম আহমেদ, জুলোজি ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম আলী হাওলাদার।