নতুন প্রজন্মকে তামাকজাত পণ্য ব্যবহারের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসতে হবেঃ বাণিজ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের বিরুদ্ধে বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে ব্যাপক প্রচারনা চালানো প্রয়োজন। মানুষের স্বাস্থ্য সেবার কথা বিবেচনা করে এ বিষয়ে কঠোর আইন প্রনয়ণ করা হয়েছে। তামাকজাতপণ্য ব্যবহারে মানুষকে নিরুৎসাহিত করতে সামনের বাজেটে এর উপর ট্যাক্স বাড়বে। ৩১ মে (শনিবার) ঢাকায় জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বিশ্বতামাক মুক্ত দিবস উপলক্ষে মানস আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মানুষকে স্বচেতন করে তোলার জন্য সরকার ব্যাপক ভাবে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। এ জাতীয় পণ্যের গায়ে মানুষের স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর দিকগুলো লিখে দেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের বিরুদ্ধে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী এবং স্বেচ্ছাসেবক সংস্থাগুলোকে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে। প্রচার মাধ্যমের ভূমিকা এক্ষেত্রে অনেক বেশি। সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ নিয়ে এ বিষয়ে মানুষকে স্বচেতন করে তোলা সম্ভব। মন্ত্রী বলেন, তামাক জাতীয়পণ্য মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তারপরও অনেক মানুষ এ পণ্যের উপর আশক্ত। সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগে বিভিন্ন অফিস-আদালত এবং মানুষের সমাগম বেশি এমন অনেক স্থান ধুমপান মুক্ত করা হয়েছে। এ সকল স্থানে ধুপানের জন্য জরিমানার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতেও ধুমপান বন্ধ করা যাচ্ছে না। এখন প্রয়োজন জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রচারনা।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হলো “তামাকের উপর কর বাড়াও-রোগ মৃত্যুর হার কমাও”। তামাক একটি রপ্তানি জাতপণ্য। দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে তামাক চাষ হয়। বাংলাদেশ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তামাক রপ্তানি করে থাকে। এগুলো দেশে ব্যবহারের চেয়ে বিদেশে রপ্তানির উপর গুরুত্ব দিতে হবে। এতে করে দেশের মানুষের সুস্বাস্থ্য রক্ষা হবে, অপরদিকে দেশের রপ্তানি আয় বাড়বে। মন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্মকে স্বাস্থ্য স্বচেতন হতে হবে। তামাক জাতীয় পণ্য পরিহার করতে হবে। সুস্থ সমাজ গড়ে তুলতে নতুন প্রজন্মকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। তরুণ বয়সেই বেশিরভাগ মানুষ এ সকল তামাকজাত পণ্য ব্যবহারে আষক্ত হয়। তাই নতুন প্রজন্মকে তামাকজাত পণ্য ব্যবহারের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসতে হবে।
মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা মানসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ টাস্কফোর্সের সদস্য এবং মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপক অধ্যাপক ড. অরুপরতন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী, এমপি, ওয়াল্ড ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ এর ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী এবং সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান তালুকদার।