৮ দিনের রিমান্ডে নূর হোসেন
নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন এবং তার দুই সহযোগীর প্রত্যেককে ৮ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন পশ্চিমবঙ্গের বারাসাতের একটি আদালত। ১৫ জুন (রবিবার) স্থানীয় সময় দুপুর দুইটার দিকে পশ্চিমবঙ্গের বারাসাতের দ্বিতীয় মুখ্য বিচার বিভাগীয় হাকিম এ আদেশ দেন। এর আগে পশ্চিমবঙ্গেরস্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে নূর হোসেন ও তার দুই সহযোগীকে নিয়ে বাগুইয়াটি থানা থেকে আদালতের উদ্দেশে রওনা হয় পুলিশ। এরপর ওই তিনজনকে আদালতের গারদখানায় রাখা হয়। শুনানি শেষে তিনজনের প্রত্যেকের আট দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। নূর হোসেন ও তার দুই সহযোগীর পক্ষে আদালতে জামিনের আবেদন করা হয়নি।
উল্লেখ্য,শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে (স্থানীয় সময়) কলকাতা বিমানবন্দরসংলগ্ন কৈখালী এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে নূর হোসেন ও সাত খুন মামলার আসামি আনোয়ার হোসেন আশিক, সুমন, শামীমসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে বেশ কিছু কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়। রবিবার সকাল ১২টার দিকে তাকে বারাসাত আদালতে নেয়া হবে। তবে কলকাতা পুলিশ এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি। আলোচিত এ খুনের ঘটনায় এরই মধ্যে র্যাবের চাকরিচ্যুত তিন জন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে আরিফ হোসেন ও এম এম রানা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে স্বীকার করেছেন যে নূর হোসেনের পরিকল্পনায় এ সাত খুনের ঘটনা ঘটে। এছাড়া কামাল নামে এক ব্যক্তিও রিমান্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য দেন। এতে তিনি স্বীকার করেন, নূর হোসেন হত্যাকাণ্ডের পর ভারতে পালিয়ে যান। সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনের বিরুদ্ধে গত ২৭ মে রেড ওয়ারেন্ট জারি করে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল। ফ্রান্সভিত্তিক এ প্রতিষ্ঠানটি ২৭ মে বিকেলে তাদের ওয়ানটেড পারসনের রেড ওয়ারেন্ট পাতায় নূর হোসেনের নাম সংযুক্ত করে।
প্রসঙ্গত,গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) প্যানেল মেয়র ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাত জন অপহৃত হন। অপহরণের পরপরই নজরুলের পরিবারের পক্ষ থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার পর অভিযোগ অস্বীকার করে সংবাদমাধ্যমে বক্তব্য দিলেও তিন দিনের মাথায় শীতলক্ষ্যা নদীতে অপহৃতদের লাশ ভেসে ওঠার পর লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান নূর হোসেন।