বৃষ্টির আগমনে তাপদাহে অতিষ্ঠ নগরবাসীর জীবনে সাময়িক স্বস্তি
পুলক চৌধুরী,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ মৌসুমের প্রথম বৃষ্টিধারার কথা বর্নণা করতে গিয়েই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন, ‘এসো নীপবনে ছায়া বীথি তলে, এসো করো স্নান নবধারা জলে’। বর্ষার প্রথম দিনে বৃষ্টির নবধারা পাওয়া এই বৈচিত্র্যময় আবহাওয়ার যুগে একটু বেশিই পাওয়া মনে হবে। তবে যখন আকুল হয়ে তার বন্দনা চলে তখন কি দেখা না দিয়ে পারে? আজ পহেলা আষাঢ়। বর্ষার প্রথম দিন। সূর্য উদয়ের সাথে সাথে রাজধানীতে শুরু হয় মানুষের বৃষ্টি বন্দনা। তবে সারাদিন বৃষ্টির দেখা না মিললেও অপেক্ষা বেশিক্ষণ করতে হয়নি। দিন গড়াতেই বৃষ্টির দেখা পেলো রাজধানীবাসী।
১৫ জুন (রোববার) বিকেলে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়। নগরবাসী বর্ষা ঋতুর প্রথম বৃষ্টির দেখা পায়। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বভাস অনুযায়ী ঢাকাসহ সারাদেশে বৃষ্টিপাত হওয়ার খবর দেয়া হয়েছে। দেশের অনান্য অঞ্চলেও বৃষ্টি হবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানা গেছে। বৃষ্টির আগমনে তাপদাহে অতিষ্ঠ নগরবাসীর জীবনে নেমে আসে সাময়িক স্বস্তি। গরমের তীব্রতা অনেকটাই কমে যায়। সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসে তাপমাত্র। আর অনেকেই নেমে পড়ে বর্ষার প্রথম দিনের প্রথম বৃষ্টিস্নানে।
আষাঢ়-শ্রাবণ এই দুই মাস ঘিরে বর্ষাকাল। বর্ষা আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতি থেকে শুরু করে কৃষি ও প্রত্যাহিক জীবন প্রণালীর সাথে প্রতক্ষ্য ও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে আছে। বাংলা সাহিত্যে বর্ষা বিভিন্ন রূপ নিয়ে উপস্থিত হয়। কখনো প্রেমের ঋতু, আবার কখনো বা বিরহের। বর্ষার রিমঝিম শব্দে কখনো আবার মনের মধ্যে ওঠে বিদ্রোহের ঝড়, কখনো বা প্রেম-বিরহের শোক গাথা। মেঘাচ্ছন্ন আকাশ আর প্রিয় মানুষের হাতের একগুচ্ছ কদমফুল জানিয়ে দেয় বর্ষার আগমন বার্তা।