নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ রেলওয়ে একটি রাষ্ট্রীয় সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। রেল সাশ্রয়ী, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব বাহন। এর সম্পদ রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে লক্ষ লক্ষ মানুষকে নিকটজনের কাছে পৌঁছে দিতে রেলওয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ সময় যাত্রীসেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি রেলের সম্পদ রায় রেলের যাত্রী-কর্মকর্তা-কর্মচারি, সরকার সর্বোপরি দেশবাসিকে এগিয়ে আসতে হবে। ৯ জুলাই (বুধবার) সকাল ১১.০০ টায় পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), নাগরিক সংরণ অধিকার ফোরাম, ইকো সোসাইটি, সহায় উন্নয়ন সংস্থা এবং ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর যৌথ উদ্যোগে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে “রেলের সম্পদ রক্ষা, নিরাপত্তা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন” এ দাবীতে আয়োজিত ক্যাম্পেইনে বক্তারা এই অভিমত প্রকাশ করেন।
ক্যাম্পেইনে নাগরিক অধিকার সংরণ ফোরাম এর নির্বাহী পরিচালক হাফিজুর রহমান ময়না এর সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়র্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর ন্যাশনাল এডভোকেসি অফিসার মারুফ রহমান, রেল শ্রমিক ইউনিয়ন এর সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল মান্নান, সহায় উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক শেখ মোঃ ইফসুফ এবং পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন এর প্রোগ্রাম- কো অডিনেটর আতিক মোর্শেদসহ আরো অনেকে। ওয়র্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর ন্যাশনাল এডভোকেসি অফিসার মারুফ রহমান বলেন, নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ ভ্রমণের জন্য রেলপথ সর্বস্তরের মানুষের পছন্দ। পরিবেশ ও অর্থনীতির স্বার্থে এবং স্বল্পমূল্যে ও নিরাপদে যাতায়াতের জন্য এই প্রতিষ্ঠানকে রা করা দেশের সব নাগরিকের দায়িত্ব। রেল শ্রমিক ইউনিয়ন এর সাধারন সম্পাদক মোঃ আব্দুল মান্নান বলেন, রেলওয়ে একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ রেলওয়ে জনসেবায় নিবেদিত একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন প্রায় ২ ল যাত্রী রেলে যাতায়াত করেন। সাশ্রয়ী, নিরাপদ ও আরামদায়ক এই বাহনের সেবা নিশ্চিত করতে সকলকে নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করতে হবে। নাসাফ এর সাধারন সম্পাদক তৈয়ব আলী বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের একার পক্ষে রেলগাড়ি এবং স্টেশন পরিষ্কার রাখা সম্ভব নয়। আমাদের ও দায়িত্ব আছে। যাত্রী হিসেবে আমাদের ও কিছু করনীয় রয়েছে যেমন: রেলগাড়ি ও স্টেশন এলাকা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে যত্রতত্র ময়লা না ফেলা, রেলের ভিতর টয়লেট ব্যবহার করার পর অন্যের জন্য পরিষ্কার রাখা যা নাকি যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে। নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম এর নির্বাহী পরিচালক হাফিজুর রহমান ময়না বলেন, রেলওয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে সঠিক ও পরিকল্পিত উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি, পরিবেশ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করা সম্ভব। কাজেই এই বাহনটির প্রতি সরকারকে আলাদা দৃষ্টি দিতে হবে। যাত্রী সেবারমান উন্নয়নে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। ঈদের সময় ট্রেনের টিকিট নিয়ে যে অরাজকতা লক্ষ করা যায় তার অবসান করতে হবে। এজন্য টিকিট কালোবাজারিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার পাশপাশি স্টেশন এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা জোড়দার করা প্রয়োজন।
এছাড়া বিসিএইচআরডি এর নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুর রহমান, সহায় উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক শেখ মোঃ ইফসুফ, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন এর সদস্য মোঃ সেলিম তাদের বক্তব্যে বলেন প্রায়ই রেল লাইন ঠিক না থাকার কারনে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। এতে করে ট্রেনের সময়সূচী ঠি রাখা সম্ভব হয় না। এজন্য রেললাইনগুলো সুষ্ঠভাবে রনা বেন করা। পাশপাশি যাত্রী হিসেবে আমাদের ও উচিত ট্রেনরে ভিতর এবং স্টেশনে যত্রতত্র ময়লা না ফেলা এবং ট্রেনের সিট, লাইট, ফ্যান যেন নষ্ট না হয় সেভাবে ব্যবহার করা।