বগুড়ায় যুবলীগ নেতা লিখন হত্যাঃ ৭ জন আটক
চপল সাহা,বগুড়া থেকে,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ বগুড়ায় খুন হয়েছেন যুবলীগ নেতা গোলাম হাফিজ লিখন (৪০)। শহরের জ্বলেশ্বরীতলা এলাকার মৃত লূৎফর রহমানের ছেলে সে। নিহত লিখন বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি, অস্ত্র আইনসহ হাফ ডজন মামলা আছে। এদিকে হত্যাকান্ডের জড়িত থাকার অভিযোগে ২৫ জুলাই (শুক্রবার) ভোরে স্থানীয় ৭জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে দুইদিন পূর্ব থেকে শাজাহানপুর উপজেলাধীণ শহরতলী চকলোকমান এলাকায় চাঁদাবাজি শুরু করে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আ্তাউর রহমান মিলু ও তার ভগ্নিপতি যুবলীগ নেতা লিখন। গত ২৪ জুলাই (বৃহস্পতিবার) ইফতারের আগে চকলোকমান খন্দকার পাড়ায় একটি মটোরসাইকেল যোগে তারা দুইজন চাঁদা আদায় করতে যায়। এসময় এলাকাবাসী তাদের আটকে ফেলে। সেখান থেকে কৌশলে লিখন পালিয়ে গেলেও মিলুকে কুপিয়ে আহত করে বিক্ষুপ্ত জনতা। এসময় তাদের ব্যবহৃত মটরসাইকেলটিতে বিক্ষুদ্ধ লোকজন অগ্নিসংযোগ করে।
এদিকে চাঁদাবাজির ঘটনা প্রতিহত করতে রাত ৮টার দিকে এলাকার শতাধিক লোকজন স্বেচ্ছাসেবকলীগ কর্মী মিলুর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে এবং বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলে। ওই সময় লিখনের স্ত্রী হাসিনা হাফিজ হিরা পুলিশের কাছে অভিযোগ করে হামলাকারীরা তার স্বামীকে ধরে নিয়ে গেছে। এরপর থেকেই পুলিশ ও তার আত্মীয়স্বজন বিভিন্নস্থানে খোঁজাখুজি শুরু করে। রাত সাড়ে ১১ টার দিকে পুলিশ চকলোকমান এলাকায় করতোয়া নদীর তীরে লিখনের লাশ উদ্ধার করে। নিহতের মাথায় ও শরীরের বিভিন্নস্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ণ রয়েছে। শাজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল মান্নান জানান মিলুর বিরুদ্ধে এলাকায় অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। কিছুদিন আগে মিলু রিভলবারসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিল। শহরের চকলোকমান এলাকায় চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে ওই যুবলীগ নেতা লিখন খুন হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি। তবে এখনও নিহতের পরিবার থানায় মামলা দায়ের করেনি। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের পরিচয় আপাতত গোপন রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে নিহত যুবলীগ কর্মী গোলাম হাফিজ লিখনের (৪০) লাশ করতোয়া নদীর তীর থেকে উদ্ধার করেছে। তাকে উপুর্যপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।