বগুড়ায় যুবললীগ নেতা লিখন হত্যা ঘটনাঃ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা,৪ জন গ্রেফতার
চপল সাহা, বগুড়া থেকে,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ বগুড়ায় সন্ত্রাসী কর্তৃক ফিল্মী স্টাইলে হামলা চালিয়ে বাড়িতে অগ্নিসংযোগ,২টি মটর সাইকেল, দু’টি ফ্রিজ,চারটি টেলিভিশন ,খাট সোফাসেট ওয়ারড্রপ, আলমারিসহ প্রায় ১২ লাখ টাকার মালামাল পোড়ানোর পর গোলাম হাফিজ লিখন (৪০) নামে এক যুবলীগ সদস্য কে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
নিহত লিখনের স্ত্রী হাসিনা খাতুন হিরা বাদি হয়ে রিগান নামে এক যুবক ও মুক্তি বেগমকে প্রধান করে ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে অগ্নিসংযোগ ও খুনের ঘটনায় শাজাহানপুর থানায় একটি মামলা করেছেন।মামলায় আরও অজ্ঞাতনামা বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাতানাম আসামী করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে মামলাটি দায়ের করা হয়।মামলার বাদি ও শাজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল মান্নান উপরোক্ত তথ্য নিশ্চিত করেন। ক্ষতিগ্রস্থ ও নিহতের পরিবার জানায়, বেশ কিছু দিন আগে শহরতলীর চকলোকমান উত্তরপাড়ার বেগম নামে এক মহিলার কাছ থেকে চকলোকমান খন্দকার পাড়ার যুবক হাউজিং এর কর্মকর্তা মুক্তি নামে এক মহিলা দেড় শ’ টাকার জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা কর্জ নেয়। পরবর্তিতে টাকা দিতে অস্বীকার করে। বিষয়টি মিমাংশার জন্য চকলোকমান উত্তরপাড়ার মৃত আব্দুল হালিম ভূইয়ার ছেলে আলিফ ইসলাম মিলু’র উপর দায়িত্ব দেয় পাওনাদার বেগম। গত বৃহস্পতিবার ইফতার পর মুক্তি বেগমের বাড়িতে মিলুসহ উভয় পক্ষ সমঝোতার জন্য একটি শালিষি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। মিলু সেখানে পৌছার পর প্রতিপক্ষ তাকে কুপিয়ে আহত করে। মিলুর বোন সিমা ও এলাকাবাসী জানান, ইফতার পর প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা দেশী বিদেশী অস্ত্র নিয়ে মিলুর বাড়িতে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে। এতে দু’টি মটর সাইকেল, টিভি , ফ্রিজ , খাট সোফাসেটসহ সকল প্রকার আসবাবপত্র পুড়ে যায়। খবর পেয়ে লিখন তার শ্যালক মিলুর বাড়িতে এসে ভয়ংকর পরিস্থিতি দেখে পুলিশের সাথে নদীর দিকে যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষরা পুলিশের সামনে থেকে লিখনকে তুলে নিয়ে যায় এবং উপুর্যপরি ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে নিমর্মভাবে খুন করে। লিখন বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা এলাকার লুৎফর রহমানের ছেলে। এদিকে লিখন হত্যা ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতেই পুলিশ মনোয়ার, বেলাল, রাজীব,মাহমুদ, বদরুল,ফরহাদ, আসাফিয়া ও জুয়েল নামে ৮ জনকে আটক করে। গতকাল শনিবার বিকেলে নিহত লিখনের স্ত্রী বাদি হয়ে ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরও বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞানামা আসামী করে বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও খুনের ঘটনায় শাজাহানপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। বগুড়ার সহকারি পুলিশ সুপার (এসার্কেল) মোহাম্মদ নাজির আহম্মেদ খান বলেন, আটকৃতদের মধ্যে সোহেল রানা, মাহমুদ হাসান,সাগর ও আসাফিয়াকে হত্যা মামলায় সংযুক্ত করা হয়েছে।