“পরাণের গহীন গাঙ…”
কাজরী তিথি জামান: একসময় কুমার বিশ্বজিৎ ছিলেন আমাদের ইয়ে…! আসলে সঠিক শব্দটা এই মুহূর্তে জোড় হাতে মিনতি করছে কিছু না বলার জন্য। এই ঢংটুকুও আয়ত্বে আনতে কারো না কারো উপেক্ষা বড্ড কাজে দিয়েছে । অথচ পদ্ধতিটি মন্দ নয়। ভিউকার্ডের দাম ৫ টাকা। লাল শার্ট ও গীটারে বিশ্বজিৎ অনবদ্য। “তারে ব্যাইন্ধা রাখা দায়…ও মন উড়াল দিতে চাই। কেমন কইরা বান্ধি তারে………..” একটা ছবি থেকেই গানগুলো ভেসে আসতো ,তিনিও আসতেন। সেসব দুপুরগুলো রূপালী পর্দার বসন্ত। শুনেছি,বসন্তে দীর্ঘশ্বাস পর্যন্ত কবিতা। এমন ছাপাখানা কই দীর্ঘশ্বাস ছাপতে পারে!
ছবির বিশ্বজিৎ সর্বদায় হাসতেন। তিনি কী জানতেন যা হচ্ছে তা তিনি কোনোদিনও জানবেন না। তবে দীর্ঘশ্বাস ছাপানোর ছাপাখানাও আছে। সেখানে মনের ভুলে কখনও কখনও সবাই যাই আমরা! আর তখন এই শূণ্যস্থানগুলো একেবারেই তাদের নিজেদের মতো। কেউ বেগুনী রঙের বাড়ী জারুল খোঁজে,কেউ হলুদেই গাঁদা ফুলের স্বপ্ন আবার কেউ কৃষ্ণচূড়ায় প্রথম বাদল দিন। তবে এই সব শ্বাস নিঃশ্বাসও বিশ্বস্ত নয়। ধরুন আপনার এই অতীতের দীর্ঘশ্বাসটিই কোনো বুকে আটকে গেল। বারো বছর ছিপ ফেলে হয়তো অপেক্ষায় ছিল পরাণের গহীন গাঙ। ফেরাতে পারবেন? নাকি ফিরতে চাইবেন?….”ঝড়ের সম্ভবনা বাড়লে ,বাতাস নিজেও পালিয়ে যাবে এবং…………..”। ইচ্ছে না করলেও শুনতে পাবেন ছাপাখানায় আওয়াজ তুলছে গয়না নৌকো। ময়নাপাখিটিও নতুন কথা শিখেছে। প্রেম উড়তে পারে পাখির মতোন। তবে পাখি সেতো পাখিই। অন্যসব পাখিরাও ওম সম্মেলনে ঠিক আমার পাখির মতোই, ডানায় তার “পরাণের গহীন গাঙ”। নতুন ডানায় ভার বইছে না তো! বিশ্বজিৎদার নতুন আ্যালবামটি কিনবো ভাবছি। তিনি তাঁর অনবদ্য হাসিটি উপহারে রেখেছেন নিশ্চিত। আপাততঃ যা কিছু সব সেই ছাপাখানায়। শীত,বর্ষা, অনুরোধের কাল বৈশাখী এমনকী ভৈরবীর ছটা। লিখেছি গাঙের সামান্য কিছু… কান পাতলেই শোনা যাবে “হাত তুমি ভালো আছো?” আবারও সেই ছাইচাপা দীর্ঘশ্বাস!!!
[কাজরী তিথি জামান: প্রাবন্ধিক]