২৫ আগস্ট থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য লঞ্চ ধর্মঘট
বিশেষ প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ পিনাক-৬ লঞ্চের মালিক আবু বকর সিদ্দিক এবং তার ছেলে লিমনের মুক্তির দাবিতে ২৫ আগস্ট (সোমবার) থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের লঞ্চ ধর্মঘটে যাচ্ছে লঞ্চ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থা (যাপ)। ২১ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) সংস্থার কার্যালয়ে আয়োজিত জরুরি সাধারণ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে তার আগে যাপের নেতারা রোববার নৌমন্ত্রী শাহাজান খানের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠকে সন্তোষজনক কোনো সমাধান না হলে দেশের পৌনে ৬০০ লঞ্চ সোমবার থেকে একযোগে সারা দেশে ধর্মঘট শুরু করবে। যাপের সভাপতি এসপি মাহবুব বলেছেন, এই লঞ্চ দুর্ঘটনার জন্য মালিকরা দায়ী নন। বছরের পর বছর লঞ্চগুলো চলছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই। লঞ্চ তৈরির নির্মাণ-নকশা, ফিটনেস এবং রুটে কীভাবে চলাচল করে তার দায়দায়িত্ব বিআইডব্লিউটিএ এবং সমুদ্র পরিবহণ অধিদপ্তরের। যদি লঞ্চ দুর্ঘটনার জন্য মালিকদের বিচার করতে হয়, তাহলে ওই সংস্থাগুলোর সংশ্লিষ্টদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে। লঞ্চ-মালিকরা দাবি তুলেছেন, আগে পিনাক-৬ লঞ্চের মালিক ও তার ছেলেকে মুক্তি দিতে হবে। অমানবিক অবস্থায় তাদের পুলিশি হেফাজতে রাখার পর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন লঞ্চ-মালিকরা।
এদিকে লঞ্চ-মালিকদের আইনের আওতায় রাখতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে মাওয়া ঘাট থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে সমুদ্র পরিবহণ অধিদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার অ্যান্ড শিপ সার্ভেয়ারদের। ওই ঘাটে এখন সার্ভের দায়িত্ব পেয়েছে নৌবাহিনী। সমুদ্র পরিবহণ অধিদপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার ফখরুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, সমুদ্র পরিবহণ অধিদপ্তর এবং নৌবাহিনীর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটির তত্ত্বাবধায়নেই মাওয়া, মাঝিরঘাট ও কাওড়াকান্দি রুটে চলাচলকারী লঞ্চগুলো সার্ভে করবে নৌবাহিনী। নৌবাহিনী যে লঞ্চগুলোকে চলাচলের যোগ্য বলে রিপোর্ট দেবে, শুধু সেসব লঞ্চই চলতে পারবে এই রুটে। এ ছাড়া অন্য লঞ্চগুলোর অবস্থা কী, তার ওপর সার্বিক রিপোর্ট দেবে তারা। এটাকে দুর্ঘটনা রোধে স্পেশাল সার্ভে হিসেবে আখ্যা দিয়েছে সমুদ্র পরিবহণ কর্তৃপক্ষ। তবে এই সার্ভে নিয়েও লঞ্চ-মালিকদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তারা বলেছেন, আরেকটি সংস্থাকে জড়িত করে এই সেক্টরকে আমলাতন্ত্রের জালে বন্দি করা হচ্ছে। এতে লঞ্চ-মালিকদের ভোগান্তি আরো বাড়বে।