সিরাজুল হক,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ খাদ্যদ্রব্য ও ফলমূলে ফরমালিন এবং বিষাক্ত রাসায়নিক মিশ্রণকারী ও ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দেশব্যাপী অভিযান পরিচালনার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে তদারকি কমিটি গঠন করা হবে। মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক পরিপত্রে এ নির্দেশনা দেয়া হয়। পরিপত্রে বলা হয়, গত ২১ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সভায় খাদ্যে ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে নিবির ও ব্যাপকভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশনা দেয়া হয়। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী পরিপত্র জারি করা হয়। অবিলম্বে দেশব্যাপী এ বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ‘খাদ্যে রাসায়নিক দ্রব্য ও ভেজালবিরোধী অভিযান’ চালানো হবে। অভিযানের যাবতীয় তথ্য সংবলিত প্রতিবেদন প্রতি মাসের ৫ তারিখের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জানানোর নির্দেশনা দেয়া হয়। পরিপত্রে আরো বলা হয়, ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে অভিযানের আওতায় জেলা পর্যায়ে ম্যাজিস্ট্রেট বা দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গোপনে তথ্য সংগ্রহ করবেন। পরে বাজার, দোকান কিংবা গুদামে অভিযান চালাবেন তারা। জেলা থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদারকি কমিটি পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করে বিবরণসহ আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও বিভাগীয় কমিশনারের অংশগ্রহণে মাসিক সমন্বয় সভায় আলোচনা করতে হবে।
পরিপত্রে বলা হয়, ভেজাল প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, মিডিয়াকর্মী, স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের সদস্যসহ সমাজের সব পর্যায়ের লোকদের সম্পৃক্ত করতে হবে। বিভাগীয় কমিশনাররা জেলা পর্যায়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠান জাতীয় ও আঞ্চলিক গণমাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। অভিযান সফল করতে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিজ নিজ এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য নির্দিষ্টসংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে উপজেলাভিত্তিক নিয়োজিত করতে হবে। এছাড়া পুলিশ সুপাররা এ উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় কর্মকর্তা ফোর্সের সমন্বয়ে উপজেলাভিত্তিক কমপক্ষে একটি করে দল আগে গঠন করে সংশ্লিষ্ট সবাইকে লিখিতভাবে জানাবেন। পরিপত্রে আরো বলা হয়, জেলা পর্যায়ে ভেজালবিরোধী অভিযান তদারকির জন্য উপদেষ্টা হিসেবে সংসদ সদস্য, সভাপতি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, মহানগরে পুলিশ কমিশনার, জেলা পর্যায়ে সদস্য হিসেবে পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, প্রাণিসম্পদ, মত্স্য, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, শিক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষা, জেলা আনসার কমান্ডার, খাদ্য নিয়ন্ত্রক, তথ্য অফিসার, ইসলামী ফাউন্ডেশন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী, পৌরসভার মেয়র, বিজিবি, এনএসআই, ডিজিএফআই, র্যাব , বিএসটিআই, পরিবেশ অধিদফতর, ক্যাব, চেম্বারস ও কমার্স সভাপতি, প্রেস ক্লাবের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক, জেলার দুজন গণমাধ্যম ব্যক্তি ও দুজন এনজিও প্রতিনিধি থাকবেন। এছাড়া সদস্য সচিব হিসেবে থাকবেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। উপজেলা পর্যায়েও একই ধরনের প্রতিনিধিরা তদারকিতে থাকবেন। কমিটি প্রতি মাসে দুইবার সভা করবে।