বিড়ালের গপ্পো
কাজরী তিথি জামান: মিনির বিড়ালের নাম ‘পুষি’। পুষিকে মিনি খুব ভালোবাসে । ছোট বেলায় এমন একটি বিড়াল পুষতে মন চাইতো । তার গায়ের রঙ সাদা । সে মাছ ও দুধ খেতে পছন্দ করে । মিনি যখন তাকে আদর করে…। মিনির ভাগ্য কতো ভালো। তার বিড়ালটি শুধু তারই ।আমরা পড়ি । তবে পড়বার পড়ে ঠিক ওমনই একটি বিড়াল আমাদের মাথায়, মনে হাঁটতে থাকে,গড়াগড়ি খায় । রঙ খুঁজে মিল পাইনা । বিড়াল সাদা না হয়ে কালোও তো হতে পারে !আবার দাগ-ছোপ ও থাকে । তখন তাকে “বাঘের মাসী” ডাকি । এই ডাকটির সাথে বিড়ালটির চরিত্রে একটু পরিবর্তনও লক্ষ্য করা যায় । বিড়ালটি বেশ গম্ভীর তখন । চোখে নেই পছন্দ অপছন্দের বাছ-বিচার । বাঘের মাসী হওয়া কী কম কথা ।!দিনের আলোয় বিড়ালটি সেটুকুও বুঝিয়ে দেয় । ভয়ে থাকি । অন্ধকারে না জানি কী হবে সে !তকমা চড়িয়ে বাঘের মাসী মনে রাখবে কী মিনিকে?নাকী তাকেই ! ভয় বাড়তে থাকে ।ভয় চারা গাছের খোলস ভেঙে ডাল-পালা ছড়িয়ে মহীরুহ হয় । তার ছায়ায় তখন বাঘের মাসীদের একদল সভা করে ।মিটিং এ অবলীলায় লীলাখেলা যোগ হয় । “ডোরাকাটা দাগ দেখে বাঘ চেনা যায়,মানুষকে কী দিয়ে চিনবে বলো ?”আজকাল চেনা বিড়ালও দেখা যাচ্ছে ঘরে,জানালায়, পথে ।বিড়ালটি আমাদেরকে খবরও পৌঁছে দিচ্ছে।ওর রঙটি কালো । ভীষণ কালো । কালো বিড়াল পথ কাটলে মনে ভালো-মন্দের হিসাব শুরু হয়ে যায় । তখন এক’পা এগিয়ে দশ’পা পেছনে ফেরা ।সে কী শুধু ঐ রঙটির জন্যই ! মিনি বিড়ালটাকে আদর করতো । পোষ ানলে সেতো নিত্য সত্যি ।না মানলে কী করতো মিনি? অনুমানে যা আসে তা..ই । আর এভাবেই বিড়াল মারার বাসনা নিয়েই শুরু হয় আর একটি পর্ব । মিনির গল্পে সেকথা বলা হয়নি তবে সেই বিশেষ রাতে একজন বিড়াল মারতে চাইলে অন্যজন ঘন্টা পরাতে চান । জীবনে ঠকাতে গিয়ে ঠকতে লজ্জা হয়না আমাদের । নতুন প্রস্তুতি নিয়ে আবারও বিড়ালই খুঁজি । থলের বিড়ালটি লাফ দিতে পারে; অজান্তেই । অতএব…