ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ বন্ধ ঘোষণাঃ ১ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত!
তবে বর্তমানে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষহীন অবস্থায় রয়েছে বলে জানান ক্যাপ্টেন এম ইলিয়াস। তিনি বলেন, “প্রতিষ্ঠানের নতুন চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে এখনো আমাদের কারো যোগাযোগ হয়নি। আমরা জানি, এই পরিস্থিতিতে যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে কোনো কর্তৃপক্ষ নেই।”
ফ্লাইট বন্ধের কারণ হিসেবে ক্যাপ্টেন এম ইলিয়াস বলেন, ফ্লাইট পরিচালনা করতে যে খরচ হয়, এই মুহূর্তে সেই খরচ নির্বাহের অর্থ ইউনাইটেডের নেই। এই অবস্থায় ফ্লাইট পরিচালনা করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। বুধবার তিনটি আন্তর্জাতিক রুট দোহা, মাসকাট ও কুয়ালালামপুরে ইউনাইটেডের নির্ধারিত ফ্লাইটও ঢাকা থেকে ওড়েনি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রায় এক হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চয়তায় বলে জানান এম ইলিয়াস। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ সাত বছর ধরে অভ্যন্তরীণ রুটের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক কয়েকটি রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে আসছিল। ২০০৫ সালে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজকে বিমান পরিচালনা করার লাইসেন্স দেয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। তার দুই বছর পর যাত্রী পরিবহন শুরু করে ইউনাইটেড। বকেয়া পাওনা পরিশোধের জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি কয়েক দফা সময় বেঁধে দেয় ইউনাইটেড এয়ারওয়েজকে। তার পরও বকেয়া পরিশোধ না করায় প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স বাতিলের হুমকি দেয়া হয়। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের কাছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মোট পাওনার পরিমাণ ৮৪ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের বিমানবহরে রয়েছে মোট ১১টি উড়োজাহাজ। এর মধ্যে একটি ড্যাশ-৮, তিনটি এটিআর-৭২, পাঁচটি এমডি-৮৩ ও দুটি এয়ারবাস-৩১০।