নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতেই আওয়ামী লীগ সরকার বিশ্বদরবারে জঙ্গিবাদের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ২৯ নভেম্বর (সোমবার) রাতে নিজের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে রামু ট্র্যাজেডি স্মরণে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট চট্টগ্রাম জেলা শাখা আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ অভিযোগ করেন। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-কল্যাণ ফ্রন্ট চট্টগ্রাম জেলা শাখার আহ্বায়ক সুশীল বড়ুয়ার সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, যুগ্ম-মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খন্দকার, সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক দীপেন দেওয়ান, কল্যাণ ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সভাপতি গৌতম চক্রবর্তী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সুকমল বড়ুয়াসহ প্রায় অর্ধশতাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তি।
সমাবেশে রামুর সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের কর্তারা বিদেশিদের কাছে বারবার ধর্না দিয়ে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের প্রচারণা চালাচ্ছে। আসলে দেশে কোনো জঙ্গি নেই, জঙ্গি আওয়ামী লীগের ভেতরেই। বিএনপির সময়ই জঙ্গি ধরা হয়েছে। বিএনপিই জঙ্গি দমন করে। আওয়ামী লীগ জঙ্গি লালন করে। বিএনপি চেয়ারপারসন অভিযোগ করেন, এ সরকার লুটপাট করে দেশের অর্থনীতি ভঙ্গুর করে দিয়েছে। সরকারদলীয় লোকজন সাধারণ মানুষের বাড়িঘর দখল করছে, সহায় সম্পদ ভোগ-দখল করছে।
বিএনপি প্রধান অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ তাদের দুর্নীতি ঢাকতে দেশের টেলিভিশনগুলোতে টক-শো’ পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ টক-শো’তে গিয়ে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা সরকারের সমালোচনা করেন। তাদেরকে নিয়ে কেউ যদি সমালোচনাও করে তা-ও তাদের সহ্য হয় না। খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজন আজ লাগামহীন। তারা সব জায়গায় দুর্নীতি করে বেড়াচ্ছে। রামুর ঘটনায় আজ পর্যন্ত সত্যিকারের অপরাধীদের আটক করা হয়নি। বরং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘটনার মূল হোতাদের সঙ্গে নিয়ে বিদেশে বেড়াতে যান। আর যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল না তাদেরই জেলে ঢুকিয়ে রাখা হয়েছে। আওয়ামী লীগের টার্গেট হচ্ছে দেশের তরুণ-যুবক ছেলেরা। তাদের বিভিন্নভাবে খুন ও গুম করে দেশেকে নেতৃত্বশূন্য করা। এমনভাবে গুম করা হচ্ছে তাদের মৃতদেহ পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে না। কোনো ধর্মের লোকই এই সরকারের কাছে নিরাপদ উল্লেখ করে সকল মতভেদ ভুলে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান এক হয়ে সরকার পতনে এবং দেশরক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান খালেদা।