অত্যন্ত মেধাবী বিশেষ শিশুঃ ৮ম থেকে ৩য় শ্রেণিতে অবনমিত
নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছোট ছেলে ১৪ বছর বয়সী এরিককে অষ্টম শ্রেণি থেকে অবনমিত করে তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এরশাদ বলেন, এরিক যে স্কুলে পড়াশোনা করত, সেই স্কুলের দায়িত্বে অবহেলার কারণেই এই অবস্থা হয়েছে। গুলশানের অস্ট্রেলিয়া ইন্টারন্যাল স্কুলে গত ৭ বছর ধরে পড়াশোনা করেছে এরশাদ-বিদিশা দম্পত্তির একমাত্র সন্তান এরিক। চলতি বছর সে অষ্টম শ্রেণিতে ওঠে। কিন্তু এখনও সে বাংলা বর্ণমালা অ, আ কিংবা ক, খ-ই লিখতে পারে না। কম্পিউটার শিক্ষা, বিজ্ঞান বিষয়েও স্কুলে তাকে পড়ানো হয়নি। মঙ্গলবার বনানীর নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতায় সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে এরিককে অন্য স্কুলে ভর্তির চেষ্টা করি। পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়ায় তাকে কোনো স্কুল অষ্টম শ্রেণীতে ভর্তি করাতে রাজি হয়নি। অবশেষে একটি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এরশাদ বলেন, “এরিকের মা নেই। আমি রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ততার কারণে ছেলের পড়ালেখার খোঁজ-খবর রাখতে পারিনি। ৭ বছরে এরিককে শুধু ইংরেজি ও অংক শেখানো হয়েছে। তাও সংক্ষিপ্ত আকারে। যে অংক শেখানো হয়েছে তা প্রথম বা দ্বিতীয় শ্রেণির সমপর্যায়ের।” তিনি বলেন, “এরিকের বাড়ির কাজের খাতা বাসায় পাঠানো হতো না। এমনকি ক্লাসের শিক্ষাবিষয়ক কোনো তথ্যও অভিভাবকের কাছে জানানো হতো না। বিশেষ শিশু হিসেবে এরিকের জন্য কোনো বিশেষ শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়নি।”
এরশাদ বলেন, “বিশেষ শিশু হিসেবে এরিকের জন্য মশিউর রহমান নামের যে বিশেষ শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছিল তার বিশেষ শিশুর শিক্ষাদানের অভিজ্ঞতা ছিল না। বছরে ৫ লাখ টাকা ফির বাইরেও বিশেষ শিক্ষকের জন্য প্রতি মাসে ১৭ হাজার টাকা অতিরিক্ত ফি প্রদান করতে হয়েছে।” তিনি বলেন, এরিকের শিক্ষা গ্রহণে কী সমস্যা আছে তা কখনও জানানো হয়নি। সব সময় তার রিপোর্ট কার্ডে সবকিছু ভালো বলেই মন্তব্য লেখা হয়েছে। তিনি বলেন, সব বিষয়ে শিক্ষাদান সম্পর্কে স্কুলের অধ্যক্ষ মি. মাইকেল আমার সঙ্গে আলোচনা করেননি। অথচ এরিক অত্যন্ত মেধাবী। ১৩ বছর বয়সেই এরিক ৭০ টা রবীন্দ্র সঙ্গীত আয়ত্ত করেছে। তার কয়েকটা গানের সিডি বেরিয়েছে।
এরশাদের উপদেষ্টা ববি হাজ্জাজ জানান, শিগগিরই স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হবে। তিনি বলেন, একজন সাবেক রাষ্ট্রপতির ছেলের অবস্থা যদি এই হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের সন্তানদের অবস্থা কি হবে তা আর বোঝার বাকি নেই।