সংলাপঃ বিএনপি আগ্রহী,আওয়ামীলীগের ‘না’
সৌরভ চৌধুরী,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ সংলাপের মাধ্যমে দেশে চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটের সমাধান ও সমঝোতা চান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ১৪ জানুয়ারী (বুধবার) বিকেলে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল তার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা জানান। বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মহিলা দল নেত্রী বিলকিস ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়া বলেছেন- ‘আমরা আপোস চাই। সেই আপোস হবে সংলাপের মাধ্যমে।’ তবে খালেদা জিয়া দাবি মানা না পর্যন্ত অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বলেও দাবি করেন বিলকিস। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমানের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও তাকে গুলির ঘটনায় ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) খুবই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি ১৫ জানুয়ারি’র হরতাল সফল করতে মহিলা দলসহ বিএনপির সব অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঠে থাকতে বলেছেন। মহিলা দলের ৬ সদস্যের এ প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন- আয়েশা সিদ্দিকী, রহিমা খন্দকার, নূরজাহান ইসলাম ও ফরিদা মনি শহীদ।
অপরদিকে, লাগাতার হরতাল-অবরোধ চালিয়ে যাওয়া বিএনপির সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনায় যাবে না ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। যে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি বিএনপি করে আসছে, সে বিষয়েও কোনো ধরনের ছাড় না দেয়ার অবস্থানে আওয়ামী লীগ অনড় রয়েছে। এই অবস্থায় বিএনপির সঙ্গে আলোচনার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই বলে ক্ষমতাসীন এ দলের নেতারা জানিয়েছেন। ১৪ জানুয়ারী (মঙ্গলবার) আওয়ামী লীগের এক সেমিনারে দলটির উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বিএনপি লিখিত দিয়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করলে আলোচনা হতে পারে বলে মন্তব্য করেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, আলোচনা হতে পারে নির্বাচনী আইন ও নির্বাচন কমিশনকে আরো কীভাবে শক্তিশালী করা যায়, সে বিষয় নিয়ে। তবে এইচটি ইমামের এই মন্তব্যের পর আলোচনার সম্ভাবনার একটা গুঞ্জন তৈরি হয়। কিন্তু বুধবার আওয়ামী লীগের এক সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ সেই সম্ভাবনা নাকচ করে দেন। আওয়ামীলীগের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে বাতিল হওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা অনির্বাচিত কোনো সরকার ব্যবস্থায় আর ফিরে যাবে না আওয়ামীলীগ। এ বিষয়ে দলটি যে কঠোর অবস্থান নিয়েছে, সে অবস্থান থেকে সরে আসবে না বলে ওই নেতারা জানান। আওয়ামীলীগ নেতারা আরো জানান, উচ্চ আদালতের রায়ের পর নবম সংসদে সংবিধান সংশোধনের সময় বিষয়টি চিন্তা-ভাবনা করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে এখন নতুন করে চিন্তা-ভাবনা বা আলোচনার করার কিছু নেই।