নির্মল সেন ছিলেন ঐক্যের প্রতীকঃ স্মরণ সভায় বক্তারা

নির্মল সেন ছিলেন ঐক্যের প্রতীকঃ স্মরণ সভায় বক্তারা

নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ কমরেড নির্মল সেন ছিলেন ঐক্যের প্রতীক। তিনি ছিলেন সৃজনশীল মানুষ। তিনি অন্যায় প্রতিবাদের রাজনীতি করতেন। তিনি সংগ্রামী ও আপোষহীন নেতা ছিলেন। তিনি সাংবাদিক হিসেবেও ছিলেন ঐক্যের প্রতিক। তিনি সকল সাংবাদিকদের একত্রিত রেখেছিলেন। তার সময়ে সাংবাদিকদের মধ্যে এমন বিভিন্ন রাজনীতি ছিলো না। ১৬ জানুয়ারী (শুক্রবার) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেঞ্জ লাউঞ্জে কমরেড নির্মল সেনের দ্বিতীয় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভায় বক্তরা তার স্মৃতি চারন করতে গিয়ে এসব মন্তব্য কথা বলেন। কমরেড নির্মল সেন স্মরণ জাতীয় কমিটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় এই স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বক্তারা বলেন, নির্মল সেন স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারানিট চেয়েছিলেন। সেই গ্যারান্টি আজও দেশের মানুষ পায়নি। তিনি লিখেছিলেন আমি ভয় পাই। সে ভয় এখনও সাধারণ মানুষের কাটেনি। বর্তমান দেশে দুই জোটের হানা হানি থেকে মুক্তি পেতে নির্মল সেনের উপস্থিতি খুব ছিল। এই দুই জোট ক্ষমতার পালাবদলের জন্য দেশের মানুষতে জিম্মি করে রেখেছে। তারা গণতন্ত্রের নাম করে গদি নিয়ে যুদ্ধ শুরু করেছে। এই বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে হলে বাম বিকল্প শক্তি প্রয়োজন। স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন কমরেড নির্মল সেন স্মরণ জাতীয় কমিটি ও তেল গ্যাস রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক  প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ। এ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন কমরেড নির্মল সেন স্মরণ জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ও শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দলের আহ্বায়ক ছিদ্দিকুর রহমান, তেল গ্যাস রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, কলামিস্ট অধ্যাপক অজয় রায়, সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ, বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাম মোর্চার সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী, কমিউনিস্টলীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন নান্নু, বাসদ নেতা বজলুল রশীদ ফিরোজ, বাসদ (মার্কবাদী) নেতা মানস নন্দী এবং সংযুক্ত শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন স্বপনসহ প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন বাসদ নেতা মহিনউদ্দিন চৌধুরী লিটন।

নিজস্ব প্রতিনিধি