“জীবন যেখানে দ্রোহের প্রতিশব্দ মৃত্যুই সেখানে শেষ কথা নয়।”
রিপন ঘোষ: অভিজিত রায়ের এই মৃত্যু অনেক দিক দিয়েই আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। ধর্মকানা তো অবশ্যই, সেই সাথে দলকানাদেরও খুব ভালোভাবে চেনা যাচ্ছে!
ধর্মান্ধ আর দলান্ধ উভয়েই ভয়ানক শ্রেণির প্রাণি। এরা কেউ নিজের বিরুদ্ধ মত সইতে পারেনা। এরা যাকে প্রতিপক্ষ হিসেবে ভেবে নেয়, তাঁকে আজ হোক, কাল হোক একটা কিছু ঘটিয়েই তবে ক্ষান্ত হয়।
গত দুদিনের পর্যবেক্ষনে দেখলাম কিছু তথাকথিত স্বঘোষিত দেশপ্রেমিক, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক, যারা স্বাধীনতার পক্ষে, রাজাকারের বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, অনলাইনের আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত করেন অবিরাম, তাদের অনেকেই আজ অভিজিত রায়ের নাস্তিক পরিচয়টিকে বড় করে দেখাতে গিয়ে ভুলে গিয়েছেন অভিজিত রায়ের অন্যতম একটি বড় পরিচয়!
ধর্ম নিয়ে অভিজিত রায়ের বিভিন্ন সমালোচনা তাদের কাছে বড় হয়ে উঠেছে অথচ তারা ভুলে গেছেন এই অভিজিত রায় ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে, যুদ্ধাপরাধীদের বিপক্ষে এক বলিষ্ট কন্ঠস্বর।
অভিজিত রায় আর ওই কথাকথিত দেশপ্রেমিকদের মধ্যে একটাই পার্থক্য, অভিজিত রায়রা পরষ্পর বিরোধিতা করতে পারেন না, নিজের বিশ্বাস আর মনোবল তাদেরকে পিছু হতে দেয়না। স্ববিরোধীতা করতে পারেন না বলেই হুমায়ুন আযাদ আর অভিজিত রায়ের মতো মানুষদের এভাবেই চলে যেতে হয়! রাষ্ট্র বা আমাদের এতে কোন মাথা ব্যাথা নেই! প্রথম কয়েকদিন যা একটু তদন্ত-ফদন্ত হবে, তারপর তদন্তের ফাইল সেই যে হিমঘরে ঢুকবে আর খুঁজে পাওয়া যাবেনা। আমরাও একসময় ভুলে যাবো। হয়তোবা মৃত্যুদিনে একটা শোক সভা করেই দায়িত্ব সারবো!
রিপন ঘোষের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে সংগৃহীত।।