প্রিপারেটরি স্কুলে কেলেংকারীঃ উপাধ্যক্ষ জিনাতুন নেছাকে অব্যাহতি
নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ রাজধানীর মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল ও কলেজের এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির পর শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের বিক্ষোভের মুখে বিদ্যালয় থেকে সব পুরুষ কর্মচারীদের সরিয়ে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ওই ঘটনা নিয়ে মন্তব্যের জন্য উপাধ্যক্ষ জিনাতুন নেছাকেও অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। আগামী ২৪ মে পর্যন্ত স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ১৬ মে (শনিবার) দুপুরে এই ঘোষণা দেন বিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ম তামিম। এর আগে সকাল থেকে স্কুল ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ চলে। তামিম জানান, শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ করছে। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ৫ মে এই বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের শ্রমিকদের থাকার একটি কক্ষে প্রথম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠার পর অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বিক্ষোভের মুখে একটি তদন্ত কমিটি করলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসেন বিষয়টি ধামাচাপা দিচ্ছে অভিযোগ তুলে শনিবার দুপুরে বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় ক্ষুব্ধ অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। দুপুর পৌনে ১টার দিকে স্কুলের মাঠে অবস্থান নেয়া অভিভাবকদের সামনে আসেন অধ্যক্ষ বেলায়েত। তিনি বলেন, শিশু নির্যাতনের ঘটনায় যে কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তার নাম গোপাল। তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া একজন অভিভাবককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে আরেক কর্মচারী শরীফুল ইসলামকেও সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি অভিভাবকদের বলেন, কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অধ্যক্ষ মাঠ ছেড়ে স্কুল ভবনের তিন তলায় নিজের কার্যালয়ে যাওয়ার পথে কয়েকজন অভিভাবক তাকে লাঞ্ছিত করেন। তিনি ভাইস প্রিন্সিপালের কক্ষে আশ্রয় নিলে সেই কক্ষের জানালা-দরজার কাচ ভাঙচুর করে অভিভাবকরা। এ অবস্থায় স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজানসহ এলাকার বেশ কয়েকজন উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেন। ততক্ষণে পুলিশও হাজির হয় ক্যাম্পাসে। তবে পরিস্থিতি জটিলতার দিকে মোড় নিলে উপস্থিত হন স্কুলের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ম তামিম। তিনি বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিলে অভিভাবকরা শান্ত হন।
অভিভাবকদের দাবির মুখে উপাধ্যক্ষ জিনাতুন নেসাকে অব্যাহতি দেয়ার ঘোষণা দেন তামিম। এছাড়া অধ্যক্ষ বেলায়েতসহ সংশ্লিষ্ট অন্যদেরও অব্যাহতি দেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।