বিশিষ্ট সাংবাদিক সুনীল ব্যানার্জি’কে ডিআরইউ এর বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান

বিশিষ্ট সাংবাদিক সুনীল ব্যানার্জি’কে ডিআরইউ এর বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান

নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ বিশিষ্ট সাংবাদিক, লেখক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সুনীল ব্যানার্জি’কে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান করেছে। গত ২৬ মে (মঙ্গলবার) সংগঠনটির ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে সম্মাননা সরূপ ক্রেস্ট দেয়া হয়। ডিআরইউ এর সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন বাদশা’র হাত থেকে শুভাশিস ব্যানার্জি পিতার সম্মাননা স্মারকটি গ্রহণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, সেক্রেটারি ইলিয়াস হোসেন, আয়োজনের সদস্য সচিব ফারুক খান, আশরাফুল ইসলাম সহ সাবেক সভাপতি ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এ সময়  ডিআরইউ প্রায়ত সদস্যদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

 

এর আগে, বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন মরণোত্তর বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান করেছে। গত ২০১১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারী  কার্যনির্বাহী কমিটি এই সম্মাননা স্মারক তাঁর একমাত্র সন্তান শুভাশিস ব্যানার্জি’র হাতে তুলে দেন। প্রবীণ সাংবাদিক বশির আহমেদের হাত থেকে শুভাশিস ব্যানার্জি পিতার সম্মাননা স্মারকটি গ্রহণ করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে ক্র্যাব এর সভাপতি পারভেজ খান, সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন নান্নুসহ বহু সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। তারা সুনীল ব্যানার্জি’র বিদেহী আত্মার শান্তি প্রাথর্ণা করেন।

উল্লেখ্য, প্রয়াত বিশিষ্ট সাংবাদিক সুনীল ব্যানার্জি  ১৯৪৭ সালের ২০ এপ্রিল সাতক্ষীরা শহরের এক অভিজাত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। ১৯৭৩ সাল থেকে প্রত্যক্ষ ভাবে তিনি সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত ছিলেন। বিসিএস পাশ করেও ক্যাডার সার্ভিসে যোগ দেননি সুনীল ব্যানার্জি। এমন কি এল,এল,বি পাশ করে স্বাধীন আইন পেশায় যোগ না দিয়ে সাংবাদিকতাকেই তিনি পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত তিনি অধুনালুপ্ত দৈনিক বাংলায় সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর সর্বশেষ কর্মস্থল ছিল দৈনিক জনকন্ঠ। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন অনুসন্ধানী রির্পোট লিখে তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। ২০০৬ সালে একুশে গ্রন্থ মেলায় সুনীল ব্যানার্জির লিখিত বই ‘সাংবাদিকতায় বিড়ম্বনা’ পাঠক মহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়। তিনি জাতীয় প্রেস ক্লাবের স্থায়ী সদস্য, ক্রাইম রির্পোর্টারস এসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, ঢাকা রির্পোর্টারস ইউনিটির আজীবন সদস্য ও কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর কার্যনির্বাহী পরিষদের একজন সদস্য ছিলেন। ২০০৬ সালের ২৮ আগষ্ট ভোররাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুরস্থ নিজ বাস ভবনে তাঁর আকস্মিক মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৯ বছর। মুক্তিযুদ্ধে অমূল্য অবদানের জন্য সুনীল ব্যানার্জিকে ২০১০ সালে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মরনোত্তর স্বীকৃতি স্মারক প্রদান করা হয়েছে। সুনীল ব্যানার্জির স্ত্রী শিখা ব্যানার্জি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার এবং একমাত্র সন্তান শুভাশিস ব্যানার্জি এসবিডি নিউজ24 ডট কম এর প্রধান সম্পাদক।

নিজস্ব প্রতিনিধি