উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
এসবিডি নিউজ24 ডট কম,ডেস্কঃ পদ্মা, যমুনা, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রসহ বিভিন্ন নদনদীর পানি বাড়ায় উত্তরাঞ্চলের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে অনেক এলাকা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রংপুর, গাইবান্ধা, নওগাঁ নীলফামারীসহ উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলার কয়েক লাখ মানুষ।
রংপুর: কয়েক দিনের টানা বর্ষণে রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বর্ষণের কারণে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। বসত ঘরে পানি ওঠায় মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে উঁচু জায়গায় বা বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু জানান, প্লাবিত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ওই এলাকার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
গাইবান্ধা: নদ-নদীর অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে গাইবান্ধার চারটি উপজেলার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া অব্যাহত আছে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি। তবে করতোয়া ও ঘাঘট নদীর পানি বিপদ সীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া অব্যাহত রয়েছে যমুনা নদীর ভাঙন। নদী ভাঙনে গত তিনদিনে তিন শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
নওগাঁ: নওগাঁয় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিতে ভেসে গেছে মাছের ঘের, নষ্ট হয়েছে শত শত একর জমির ফসল। রানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম পাটওয়ারী জানান, উজান থেকে নেমে আসা পানিতে আত্রাই নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে নদী তীরবর্তী ফুলবাড়ী বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে গেছে। এদিকে আত্রাই নদীর পানি বিপদ সীমার প্রায় ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।