মোহাম্মদপুরে ৪টি হাসপাতাল ও ডায়গনেস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ৪টি বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়গনেস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অমান্য করে চিকিৎসা সেবা চালু রাখার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সহায়তায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন-র্যাব-২ ওই চার প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করে। ১৬ অক্টোবর (শুক্রবার) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অভিযানে ৪টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার নির্দেশ এবং কর্তৃপক্ষকে জেল-জরিমানা করা হয়েছে।
হাসপাতালগুলোর মধ্যে রয়েছে- নবাব সিরাজউদ্দৌলা হাসপাতাল (মানসিক), ট্রমা স্পেশালাইজড হাসপাতাল, মালিহা হাসপাতাল, ভাইটাল ডায়গনেস্টিক সেন্টার।
আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিন সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ওই ৪ হাসপাতাল ও ডায়গনেস্টিক সেন্টারে মন্ত্রণালয়ের নিয়ম অমান্য করে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছিল। সাধারণ মানুষ এতে প্রকৃত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। তিনি জানান, অভিযানে বিভিন্ন মেয়াদে অর্থদণ্ড এবং কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আর হাসপাতালগুলো বন্ধ করে দেয়ার কথা বলে হয়েছে। এক্ষেত্রে এক এক প্রতিষ্ঠানকে তিন থেকে চার দিন সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যেই তারা কার্যক্রম বন্ধ করবেন এবং চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা হাসপাতাল ত্যাগ করে অন্য হাসপাতালে চলে যাবেন।
মোহাম্মদপুরের হুমায়ূন রোডের নবাব সিরাজউদ্দৌলা (মানসিক ও মাদকাসক্ত নিরাময়কেন্দ্র) হাসপাতালের ম্যানেজার আনোয়ার হোসেনকে ৬ মাস কারাদণ্ড এবং ২ লাখ টাকা অনাদায়ে অতিরিক্ত ৩ মাসের জেল দেয়া হয়েছে। একই হাসপাতালের সহকারী ম্যানেজার সবুজ মন্ডলকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া ট্রমা স্পেশালাইজড হাসপাতালকে ২ লাখ টাকা জরিমানা এবং এই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার জাকির হোসেনকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এদিকে ভাইটাল ডায়াগনেস্টিক সেন্টারকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। সর্বশেষ মালিহা হাসপাতালকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং সাতদিনের মধ্যে কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অভিযানে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. সামিউল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ছিলেন র্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান।
বন্ধের নির্দেশ দেয়া এইসব হাসপাতালে কারো লাইসেন্স ছিল না। কারো পর্যাপ্ত চিকিৎক বা নার্স ছিল না। ডায়াগনেস্টিক সেন্টার নামে অনুমোদন নিলেও নিজেদের কাছেই রোগী ভর্তি রেখে প্রতারণা করা। কোনোটি আবার মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়া রোগ নির্ণয়ের প্রয়োজনীয় রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে আসছিল। করো কারো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনপত্রের মেয়াদ পার হয়েগিয়েছিল।