ডিসি তেজগাঁও কে এসএমএস করেছিলেন টুটুল

ডিসি তেজগাঁও কে এসএমএস করেছিলেন টুটুল

নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ লালমাটিয়ায় তিন লেখক-প্রকাশককে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টায় দুর্বৃত্তদের উদ্দেশ্য কী ছিল তা এখনই বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তেজগাঁও জোন পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার।

৩১ অক্টোবর (শনিবার) বিকেলে ঘটনাস্থল রাজধানীর লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর অফিস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, শুদ্ধস্বর প্রকাশনী অফিসটিতে দুই থেকে তিনজন অজ্ঞাত ব্যক্তি বই কেনার কথা বলে ভেতরে প্রবেশ করেন। তারা প্রথমে জানিয়েছিলেন- সিলেট থেকে বই কেনার জন্য এসেছেন। এরপর তারা ভবনে থাকা দুজনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করেন। তার সঙ্গে সঙ্গেই আরও দুই থেকে তিনজন যুবক ভেতরে ঢুকে সবাইকে জিম্মি করে ফেলেন। বেশি দেরি না করে তারা দ্রুত গুলি করেন ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন তিন লেখক-প্রকাশককে।

তিনি আরও বলেন, দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের সঙ্গে আনা একটি নতুন তালা গেটে লাগিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান। তারপর ওই অফিসে থাকা টুটুল নামে একজন ব্যক্তির মোবাইল ফোন থেকে আমার মোবাইলে একটি এসএমএস পাই। সেখানে লেখা ছিল- ‘প্লিজ কাম, প্লিজ কাম’। তিনি বলেন, এর আগে এই ঘটনা জানিয়ে একটি ফোন আমার কাছে আসলে তখনই বিষয়টি মোহাম্মদপুর থানাকে জানাই। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ দ্রুত গিয়ে তালা ভেঙে আহত তিনজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল নিয়ে যান।

ডিসি আরও ‍জানান, ঘটনাস্থলে দু’টি গুলি করা হয়েছিল। এর মধ্যে একটির খোসা পাওয়া গেছে। হামলাকারীরা হয়ত ভেবেছিল, কুপিয়ে ও গুলি করে পালিয়ে গেলে তারা মারা যাবেন।  ঘটনাস্থলের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানতে পারেন হামলাকারীদের বয়স ১৬ থেকে ১৮ বছর হবে। এ ঘটনার সঙ্গে ড. অভিজিৎ রায় হত্যার ঘটনার কোনো মিল খুঁজে ‍পাওয়া গেছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি এখনই বলা যাচ্ছে না। তদন্তের পর এ বিষয়ে বলা যাবে। ঘটনাস্থলে যারা আহত এবং যারা অক্ষত আছেন তাদের সঙ্গে কথা বলার পরই জানা যাবে দুর্বৃত্তদের উদ্দেশ্যটা কী ছিল। দুর্বৃত্তদের মূল উদ্দেশ্য কী তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তদন্ত বিভিন্ন দিক দিয়ে শুরু হয়েছে। এরপরই সব জানা যাবে।

নিজস্ব প্রতিনিধি