মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের একটি অংশের উদ্বোধন
নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বহুল আলোচিত মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের একটি অংশের উদ্বোধন হয়েছে। ৩০ মার্চ (বুধবার) সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের দীর্ঘতম এই ফ্লাইওভারের রমনা থেকে তেজগাঁও সাতরাস্তা পর্যন্ত দুই কিলোমিটার অংশের উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী তেজগাঁও অংশে উদ্বোধনের ফলক উন্মোচন করে ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল প্রান্তে পৌঁছান। এরপর অফিসার্স ক্লাবে মূল অনুষ্ঠানে ফ্লাইওভারের এ অংশের উদ্বোধনী ঘোষণা করেন তিনি।
তিন দফায় এ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ার পাশাপাশি ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার২১৯ কোটি টাকা। নির্মাণ কাজের মধ্যেই নকশায় ত্রুটি নিয়ে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ, সমালোচনা। তারপরও নগরীর অন্যতম ব্যস্ত এলাকায় বিশাল নির্মাণ কাজের ভোগান্তি আর যানজটের ধকল থেকে রেহাই পেতে নাগরিকরা অধীর আগ্রহ নিয়ে ফ্লাইওভারের কাজ শেষ হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
ফ্লাইওভার নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) এলজিআরডি’র প্রকৌশলী নাজমুল আলম জানান, প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরপরই ফ্লাইওভারের প্রথম অংশটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। বাকি কাজের মধ্যে হাতিরঝিল থেকে এফডিসি অংশের র্যাম্পটির নির্মাণ কাজ দ্রুতই শেষ হবে জানান এই ফ্লাইওভারের প্রকল্প পরিচালক।
পুরো প্রকল্পের ৭০ ভাগের মতো কাজ শেষ হয়েছে জানিয়ে প্রকৌশলী নাজমুল বলেন, “তিন ধাপে কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। বাংলামোটর থেকে মৌচাক অংশ আগামী জুনে খুলে দেয়া হবে। আর বাকি অংশটুকু ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে খুলে দেয়ার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে ২০১৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্মাণকাজ শুরু করা এই ফ্লাইওভার দুই বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০১৫ সালের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল। ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। তবে ঠিকাদার ও তত্ত্বাবধায়ক প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতার কারণে তিন দফায় সময় বাড়ানোর পর এখন ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ করার আশ্বাস দেয়া হচ্ছে। মেয়াদ বাড়ার সমান্তরালে প্রকল্পের ব্যয়ও প্রায় ৫৮ শতাংশ বাড়িয়ে ১ হাজার ২১৯ কোটি টাকায় উন্নীত করেছে সরকার। চার লেনবিশিষ্ট এ উড়ালসড়কে উঠা-নামার জন্য তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তা, সোনারগাঁও হোটেল, মগবাজার, রমনা (হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল সংলগ্ন রাস্তা), বাংলামোটর, মালিবাগ, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস ও শান্তিনগর মোড়ে লুপ বা র্যাম্প রাখা হয়েছে।