লন্ডনের দিন রাত্তির… আমার একটি কাজ চাই
ফারহিম ভীনা: লন্ডনে এসেছি মাস পেরিয়েছে -ঘর কন্যায় চলে যাচ্ছে দিন|কিন্তু শুধু সংসার জীবন আমাকে টানে না-মনে হয় আমি ঘরে সাজানো লাল শাড়ি পড়া পুতুল বউটি| আমি আরও পড়তে চাই-চাই অবসর সময়ে কাজ করতে। এখানে ইউনির্ভাসিটিতে পোষ্ট গ্র্যাজুয়েশনে ভর্তির অনেক খরচ। রিজুর কমনওয়েলথ স্কলারশিপ নামেই অভিজাত কিন্ত এর টাকা কোন রকমে চলে যাবার মত। এই টাকা থেকে কোনভাবেই আমার ভার্সিটির ভর্তির খরচ সম্ভব না বলে রিজু ব্যাংক থেকে ধার করতে রাজী । আব্বা ওদিকে বলেই দিয়েছেন ছেলে-মেয়ে সবার বিদেশের প্রথম সেমিষ্টারের খরচ আব্বা দিবে। আব্বা সরকারী চাকরি শেষে বিশ্বব্যাংকে পরামর্শকের চাকরি করছেন। আমার অবশ্য ঘাড়-বাঁকা আমি নিজের খরচ নিজে চালাতে চাই- যতটা পারি।
পূর্বে লন্ডনের লাইব্রেরীতে বসে আমি দিনমান চাকরির খোঁজ করি। কাউন্সিলের সোস্যাল ওয়ার্কার, কমিউনিটি হেলথ প্রোগ্রামার এই সব পদে ধারাবাহিকভাবে apply করে যেতে থাকি। এর মধ্যে ডাক এসেছে কমিউনিটি হেলথ প্রোগ্রামারের পদের জন্য|
ইন্টারভিউ দিতে দারুন লাগে। বৃটেনের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, বাঙ্গালীদের নিজস্ব স্বাস্থ্য সমস্যা, স্বাস্থ্য খাতে নারীর লৈঙ্গিক অসমতা ইত্যাদি নানা চমৎকার প্রশ্ন করা হয় আমাকে। লন্ডনে থাকার স্বল্প অভিজ্ঞতা, কম্পিউটারের SPSS নামের প্রোগ্রাম না জানা, স্বাস্থ্য বিষয়ে কাজ না করা ইত্যাদি অসংখ্য কারনে চাকরিটা শেষ পর্যন্ত হলোনা। চাকরি হলো না বটে, কিন্তু চাকরির তৃষ্ণাটা বেড়ে গেল তা-সে যে কোন কাজই হোক না কেন।
লন্ডনে পা দেবার তিন মাসের মাথায় নিলাম Imperial Cancer Research Institute- এর স্বেচ্ছাসেবকের কাজ। বড় লোকদের দান করা কাপড় চোপড় বিক্রী করতে হয়–এসব দাতব্য কাজে চলে ক্যান্সারের গবেষণার কাজ। আমি পুরনো একটা কাপড়ের দোকানে কাজ করি পাঁচ বুড়ো মহিলার সাথে। এশিয়ানদের প্রতি এদের মনোভাব তেমন ভাল দেখলাম না। একবার এক ভারতীয় মহিলার শাড়ি নিয়ে খুব হাসছিল| ওরা বলছিল শাড়ির আঁচল ধরতে নাকি আর এক মানুষ লাগে এমন প্রাগৈতিহাসিক পোশাক। পরদিনই আমি শাড়ি পরে দোকানে গেলাম আর চমকে দিলাম ওদেরকে। মেরি তোতলাতে তোতলাতে বলল, তুমিও যে শাড়ী পর জানিনা তো। সত্যি কাজে নেমে কত বিচিত্র মানুষজনের সাথে দেখা হচ্ছে আর ভরে উঠছে আমার অভিজ্ঞতার ঝুলি ।
পূর্ব লন্ডনে আসার পর আসে পাশের এলাকার বাঙালি পরিবার থেকে টিউশনির অফার আসছে। বেকার বসে থাকার চেয়ে তা অনেক ভাল। নাহ্, টিউশনি করতে খারাপ লাগছে না। আমি ক্লাস ফোরের ছাত্রকে ইংরেজি আর ক্লাস সেভেনের দুজনকে বাংলা পড়াই। ইংরেজির ছাত্র আহসানকে নিয়ে মুশকিলে পড়েছি। ওর মাথায় ফুটবল ছাড়া কিছু নাই। আমি যদি ওকে Aim in life লিখতে দেই ও লিখে ফুটবল প্লেয়ার হবে। জগৎজোড়া নাম হবে, বিশ্বকাপে সবাই ওর খেলা দেখবে। টিভির প্রিয় অনুষ্ঠান নিরাপদ একটি বিষয় ভেবে লিখতে দেই। ও টিভিতে দেখা ঠিক ফুটবল টুর্নামেন্টের উপর একপাতা লিখে নিয়ে আনে। দিলাম My favorite Personality – ও লিখল রুট গুলিথের কথা। এবার লিখতে দেই প্রিয় বইয়ের কথা –ও লেখে How to Win Football Game-Hundred Tips নামের এক বই এর কথা। আমার এই ছাত্রকে ফুটবল মাঠ থেকে বের করে আনা এক কঠিন সমস্যা ।
বাংলার ছাত্রী দুজনই সম্ভবত ভবিষ্যতে মহিলা গাধা হবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে জানতে চাইলে বলে ‘দাড়িওয়ালা ব্যাটা’। জয়নাল আবেদীনের পরিচয় জানতে চাইলে বলে আমাদের মামা । ‘ডাকাত’ বানান লিখে ‘ঢাকাইথ’ আর সবজী বানান কিভাবে যেন হয়ে যায়-ষভযি। তারপরও অপরিসীম ধৈর্য্য নিয়ে আমি ওদের পড়াই। সঙ্গত কারনেই এসব পরিবারের বাবা মায়ের ফেলে আসা দেশ আর সংস্কৃতির প্রতি এখনো আছে তীব্র মায়া। কিন্তু এদেশে জন্ম নেওয়া ছেলে মেয়েদের কাছে বাবা মায়ের ফেলে আসা দেশ প্রিয় হয়ে ওঠেনি। বরং দুই সংস্কৃতির মধ্যে দোলায়মান পরিবারগুলোর ছেলেমেয়েরা আরো বেশি বৃটিশ হবার জন্য আপ্রাণ চেষ্ঠা চালাচ্ছে। প্রতি সপ্তাহে সামান্য করে আয় করতে আমার মন্দ লাগছে না। আমি একটা Mouse Money Box কিনেছি। একটি ইঁদুর গর্তে বসে আছে, আর তার দু কানের মধ্যে আছে ছোট একটা গর্ত। আমি জমানো কয়েন আর পাউন্ডের বড় নোট ফেলি। প্রায় দিনই কানের কাছে তার ঝন ঝন শব্দ শুনে খুশী হয়ে উঠি। ইঁদুররটির মুখও হাসিখুশী কারণ সে সঞ্চয়ী। আমিও ইঁদুরের গর্তে সঞ্চয় করতে থাকি- আমার ভর্তির টাকা যতদুর পারি আমি জমাব।
এবার পেলাম গল্প বলার চাকরি। গল্প বলার কাজটি সহজ নয়। তাও ভাল, মেয়েদুটিকে গল্প বলতে হয় বাংলায়। কোনদিন বলি গ্রামের কথা। এই যে বয়ে চলা সভ্যতা তার জেল্লার অনেক দূরের এক সবুজ দেশের ছায়ামায়া গ্রামের কথা বলি। বর্ষার থৈ থৈ পানিতে ডুবে যাওয়া রাস্তা, মাঠ- তারই মধ্যে দাঁড়ানো একসারি নারকেল গাছ। কবিতার মতই সেই গ্রামে বাঁশবাগানের মাথার ওপর চাঁদ ওঠে। হেমন্তে দেখা যায় দিগন্তজোড়া সোনালী পয়মন্ত ধানক্ষেত। শাপলা ফোটা গ্রামের বিল আর কাশবন সূচনা করে শরৎকালের এক একটা সকাল। এইসব গ্রামে মায়াবী চাঁদের আলোয় আলপথ ধরে হেঁটে চলে গ্রামীণ মানুষ। শোনা যায় ব্যাঙ্গের অবিরাম ঘ্যাঙ্গর-ঘ্যাঙ্গর ডাক। এর মধ্যে কুড়েঘর থেকে কেউ চমকে ডাকে, কে যায়! কে যায় ঐ|
আমি ওদের নিয়ে যাই ঢাকা শহরে। শহর কিন্তু মানুষেরা এখনো আবেগি -পরিবার তো বটেই, পড়শীর খবর নেয় ঢাকার মানুষ । বলি ঝালমুড়ির আর ফুচকাওয়ালার কথা। রিকশা ভ্রমণ ওদের বেশ টনল। কখনো বলি রেলগাড়ীর কথা| ছুটছে রেল কু ঝিক ঝিক শব্দ নিয়ে। সাপের মত একবেঁকে চলেছে সে রহস্যময় অথচ প্রিয় কোন গন্তব্যের দিকে। রেলে টিকেট না পেলে মানুষ চেপে বসে রেলগড়ির ছাদে-যেন অবাধ্য এক সাপের পিঠে সওয়ার হয়েছে তারা|হঠাত এইসব মানুষ হয়ে উঠলো আমার ভারী আপনজন| এতদূরে এই সব মানুষ এত কষ্ট দেয় কেন কে জানে ? বলি রেলগাড়ি থামে বিভিন্ন ষ্টেশনে তখন খাওয়া যায় গরম গরম ডিম। ছাত্রীরা বলে Boiled Egg? So funny. শোন মেয়েরা পুরো পৃথিবী ঘুড়ে বেড়ালেও ঐ ডিমের স্বাদ তুমি পাবে না। আর পাবে না বাংলাদেশের রেলগাড়ীর কু-ঝিক ঝিক শব্দ।
ছাত্রীদের কখনো নিয়ে যাই নৌকা ভ্রমণে। যেখানে পানি টলমল করে|চারপাশে থেকে ভেসে আসে সবুজ পাতার মিষ্টি গন্ধ। বিলে রূপ ছড়ায় কচুরিপানার বেগুনী ফুল। উচ্ছাস নেই- তির তির করে দাঁড় বেয়ে চলা শুধু। এগিয়ে যায় নৌকা, গ্রামের বিলের নীল পানিতে।
সত্যি তো ! এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি। সকল দেশের রানী সে যে-আমার জন্মভূমি। প্রথমদিকে রহিমা ও মহিমা হেসে উঠত। এখন চুপ করে শোনে।কখনো গালে হাত দেয়-চোখ হয়ে ওঠে স্বপ্নাস্চ্ছন্ন। বলি, আমাদের দেশেও আছে দর্শনীয় অসাধারণ সব স্থান। অপরুপ সুন্দরবন, দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত নিয়ে কক্সবাজার, বান্দরবনের স্বর্নমন্দির, চিম্বুক পাহাড়, আদিনাথের মন্দির, মাধবকুন্ডের জলপ্রপাত আর বগুড়ার মহাস্থানগড়। আমাদের আছে রবীন্দ্রনাথের বিখ্যাত কুঠিবাড়ি। আমি বলি এ প্রদেশের মহান স্বাধীনতার কথা। ঘাতক হানাদার বাহিনীকে কেমন কর পরাস্ত করল আমাদের বীর বাঙ্গালীরা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব, দেশপ্রেম ও আত্মত্যাগের কথা বলি। তিরিশ লাখ বাঙ্গালীর রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা, মানচিত্র আর লাল সবুজের পতাকা। আর কোন দেশের মানুষ ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে জানতে চাইলে ওরা কথা বলে না। আমার দুমাসের গল্প বলার চাকরি ছিল একটা প্যাকেজ। দুমাস দ্রুত পেরিয়ে যায়। রহিমা ও মহিমা কখন যেন আমার কাছে চলে এসেছে আর ওদের বাবা শফিক চাচা খুব খুশী। তার মেয়েরা এখন দেশে যেতে চায়-স্কুলে বাংলা ভাষা পড়তে চায়। তিনি সম্মানী বাবদ একটা বদ্ধ খাম এগিয়ে দেন। জানি ভার্সিটিতে ভর্তির জন্য আমার টাকার দরকার কিন্তু আমি টাকার চেয়েও অনেক অনেক মূল্যবান কিছু পেয়েছি। অনেক অনুরোধের পরও বদ্ধ খাম ফেরত দিয়ে আসি।
হঠাৎই সাবান কিনতে গিয়ে দেখলাম Health & Beauty নামের কেমিষ্ট শপে সেলস গার্লের জন্য ইন্টাভিউ চলছে। কোন কিছু চিন্তা না করেই আমিও ছোট ইন্টারভিউ দিয়ে সেলস গার্লের চাকরি নিলাম। দোকানের মালিক ফ্রাংক খাঁটি বৃটিশ, অভিজাত তার চেহারা, মুখে হাসির চিহ্ন নাই। দোকানের ম্যানেজার ব্রায়ান আমেরিকান ফার্মেসিস্ট। কথা হয়-আমার কাজ সপ্তাহে ৫দিন প্রতিদিন ৫ ঘন্টা, বেতন সপ্তাহে ১০০ পাউন্ড। সাথে আরো দুজন অভিজ্ঞ সেলস অ্যাসিসটেন্ট মরিন আর বারবারা আছে| দুজনের বয়স আম্মার কাছাকাছি, দেখতে ভারি সুন্দর। বারবারার সোনালী চুল আর মরিনের কালো |মালিক ফ্রাংক ছাড়া সবাইকে একনজরে ভাল লেগে গেল। ব্রায়ান কালো মানুষ, তাল গাছের মত লম্বা |সবসময় তার মুখে হাসি থাকায় উজ্জল সাদা দাঁত বেরিয়ে থাকে। আশ্চর্য হয়ে শুনি, সে কমিউনিজমে বিশ্বাস করে আর বৃষ্টির গান শুনতে ভালবাসে।
আমি বোধ হয় কর্মী মানুষ- যে কাজই করি তাই আমার ভাল লেগে যায়। সেলস গার্লের কাজ শুনে কেউ নাক কুঁচকাতে পারে।খুব দ্রুত দোকানের শেলফে রাখা ঔষধের নাম মনে মনে মুখস্থ করি। OTC-Over The Counter Drug অর্থ্যাৎ বিনে প্রেসক্রিপশনের ঔষধের ক্রেতা বেশি। আমি প্রতিদিনই সেই তাক থেকে চোখ বন্ধ করে খুঁজে নেই ব্যাথার ঔষধ, কাশির ঔষধ। কখনো কখনো সরু মই দিয়ে বেয়ে আমি নিয়ে আনি অনেক ওপরে রাখা ঔষধগুলো। কখনো কখনো দৌড়ে যেতে হয় থুথুরে কোন বুড়ির বাসায়। বেচারী পা ব্যাথায় হাঁটতে পারছে না। ছেলে মেয়েরা বুড়ো মায়েদের ফেলে যার যার জীবন বেছে নিয়েছে। বাসায় ঔষধ পৌঁছানো আমার কাজ নয়। সেজন্য উইলিয়াম আছে, কলেজের স্টুডেন্ট| ক্লাস শেষ করে সেই করে দৌড়াদৌড়ির কাজ। কিন্তু যখনি ফোন আসে আমি মোটেও উইলিয়ামের অপেক্ষা করি না। ঔষধ নিয়ে দেই। আহা কোন বুড়ো মানুষ কতক্ষন কষ্ট করছে কে জানে। ব্রায়ানের নিষেধ আমি শুনিনা। খুব দ্রুত এ কাজ করতে পারি বলে ও আমাকে ডাকে লিটল বার্ড বলে। মরিন আর বারবার কাছে আমি হয়ে গেছি ‘কিড’। মাঝে মাঝে ওরা আমার জন্য নিয়ে আসে আইসক্রীম। বলে ‘Hey Veena this is ice-cream break. । আচ্ছা মানুষ এত ভাল কেন? কে বলেছে ব্রিটিশরা একদম মিশুক না?
দোকানের মালিক ফ্রাংক আমাকে প্রায়ই বেতন দেওয়ার সময় বিশ/তিরিশ পাউন্ড বেশি দেয়| আমি জানাই, ফ্রাংক তুমি দোকানের মালিক অথচ আমার বেতন জানো না। আমার বেতন সপ্তাহ ১০০ পাউন্ড আর তুমি দিয়েছ বিশ পাউন্ড বেশি। ও রহস্যের হাসি হাসে । একবার বলল এটা তোমার টিপস। আমি শক্ত হয়ে বললাম, আমি অর্থাভাবে কাজ করি, টাকা নেই ঘন্টা হিসাবে-কম নিব না। তবে আমি টিপস নেইনা।কেমিস্ট শপে পাওয়া যায় প্রচুর প্রসাধনীর সামগ্রী-ফরাসী সুগন্ধি পারফিউম,নানারকম সাবান, লিপস্টিক আরো কতকি!অল্প বয়েসী কোন কোন মেয়ে এসব জিনিস চুপি চুপি জিনিস সরিয়ে ফেলে|এটা নাকি একটা অসুখ| এই দোকানে কাষ্টমার সামলানোর পাশাপাশি টুক-টাক্ দোভাষীর কাজ করতে হয়।
ছমাসে ফ্রাংকের দোকান যেন হয়ে উঠল আমার দোকান। কোন ঔষধ কবে লাগবে, কতটা লাগবে, নিয়মিত কাষ্টমারের তালিকা,সন্দেহজনক কাস্টমারের তালিকা, দোকানের নিরাপত্তা- সবই ততদিনে আমার জানা বিষয়। এর মধ্যে দোকান নিয়ে আমি নানা স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি। ব্রায়ানকে জানালাম বুড়ো কাষ্টমারদের নিয়মিত ফোন করলে জনসংযোগ ভাল হবে, আবার একটু কথা বলতে পারলে নিংসঙ্গঁ বুড়োরাও খুশী হবে।ব্রায়ান রাজি হয় সাথে সাথে| আমি মন দিনে কাজ করি, কাজের ৫ঘন্টা সময় যেন উড়ে চলে যায়। এমধ্যে আমার বেতন বেড়েছে, কাস্টমারও বেড়েছে অনেক।
ইতিমধ্যে একটা স্কুলে পার্ট-টাইম কাজ পেয়েছি। বেতন ঘন্টায় অনেক বেশি, তাও সরকারি স্কুলে পড়াবার কাজ। মন খারাপ হলেও দোকানের কাজটা ছেড়ে দেই। ফ্রাংক বলল আরে তুমি থেকে যাও-ব্র্রায়ান আমেরিকায় চলে গেলে বছর খানেকের মধ্যে তুমি হবে দোকানের ম্যানেজার। ফ্রাংককে ধন্যবাদ জানাই স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়ার জন্য। সুন্দর কর্মচঞ্চল ছয় মাসের সেলস গার্লের জীবনের জন্য। মরিন আর বারবারা জড়িয়ে ধরে আমাকে। ব্রায়ান সেদিন পৌছে দেয় আমার বাসায়। ও লম্বা পা ফেলে হাঁটে আর বলে, পড়তে তোমাকে হবে-দেশে যাবে বড় ডিগ্রী নিয়ে| তবে পড়ার মাঝে মাঝে কিন্তু বেড়াতে এসো এই দোকানে।