অভিমানী তৃষ্ণা (সৈয়দ মিজানুর রহমান)
~~~অভিমানী তৃষ্ণা~~~
—সৈয়দ মিজানুর রহমান—
———————————————————————————————————————-
জীবনটা নির্মম, হাস্যকর বটে
বেসামাল জোয়ার আসে যখন জীবনে
অপরাধ জীবনের নয় যৌবনের
যৌবনে কপোত কপোতী শীতের অতিথি পাখি ন্যায় সমাগম
জীবন খুঁজে নিতে যৌবনের মহামারী ঠেকিয়ে অন্বেষণ
কত তারা, ধ্রুবতারা, নক্ষত্র ঝরে যায় হৃদয় থেকে
হেমন্তের ঝরা পাতার মত
বুক পেতে আছে জীবনের খোঁজে তার ই ফাঁকে
যদি মিলে যায় প্রানে জীবনে মহামিলনের টানে
চাওয়া পাওয়ার ঠুনকোতা হতবম্বে হাসায় বোকা ও বানায়
কোন্ কথায় আঁচড় কেটে হৃদয়ে, নুতুনের সন্ধানে জীবন এগোয়
হারাবার ভয় ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা ভুলে তীরে ভেড়ার প্রত্যয়
জীবনের উত্তাল তরঙ্গের ঢেউ কিনারায় আছড়ে পড়ে চিকচিক বালির বুকে
পিপাসা মিটাতে বালির মাঝে নিজেকে বিলীন হতে
খুঁজে নিতে বলেছিলাম, যা আমার নয় তাকে কেন মিছে আশায় রাখতে
দুচোখ যেথায় খুঁজে পায় সান্তনা মনের বাসনা পুরনে মন্ত্রনা
যাও সেখায় খুঁজে নাও তারে মনে বাঁধনে বেধে ভালবেসে যাও তারে
ভয় পেয়ো না কষ্ট আমি পাবনা যদিও দুচোখে অশ্রু ঝরে
আনন্দের অশ্রু সে তো ঝরতেই পারে
তোমার সুখে আমার আনন্দের অশ্রু বইতেই পারে
অমন একজন প্রতিমা ভালবাসার দেবী তুল্য বনলতা সেন
যার চারিপাশ মসৃন সুভাষিত প্রেমতুল্য মধুময় আমার জীবন মৃত্যু
যার জীবন্ত ছায়া চলে আমার সাথে সাথে আমরণ প্রেম কাননে
যৌবন বাঁধে জীবনের খাঁচায় প্রেমের উষ্ণতায়
তুমি তো সেই দেবী যাকে ভালোবেসে তৃষ্ণা মেটেনা মিটবেনা।
__________________________________________________________________