মহাকাশে তৈরী হবে আবাসস্থল!
এসবিডি নিউজ24 ডট কম,ডেস্কঃ আপনি কোথায় বসবাস করতে চান সেটা বেছে নেয়ার অপশন এখন অনেক বিস্তৃত। কারণ মানুষ এখন প্রত্যেক মহাদেশেই বসবাস করতে শুরু করেছে, এমনকি অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশেও। কিন্তু পৃথিবী ব্যতীত অন্য গ্রহগুলোর ক্ষেত্রে খবর কী?
চল্লিশ বছর আগে, নাসা সম্ভাব্য মহাকাশে বাসা-বাড়ির কিছু সুন্দর ছবি প্রকাশ করেছিল এবং জানিয়েছিল যে, ২১০০ সালের মধ্যে মানব সম্প্রদায় অন্যান্য গ্রহের চারপাশে বিশাল ভাসমান আবাসস্থল গড়ে তুলবে। এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ায় নাসা আমেস রিসার্চ সেন্টারের একজন ঠিকাদার এবং মহাকাশে আবাসস্থল তৈরির বিশেষজ্ঞ ড. অল গ্লোবাস, ‘মহাকাশে জনবসতি ঘটবে কী ঘটবে না এটা বলা সত্যিই খুব কঠিন। তবে যদি প্রশ্ন তোলা হয় যে এমনটা সম্ভব কিনা, তা আমি বলবো অবশ্যই সম্ভব।’ ‘মানুষ হিসেবে আমরা যদি এটি করার সিদ্ধান্ত নিই তাহলে আমরা এটা করতে পারব। কারণ এটি করার জন্য বৈজ্ঞানিক সামর্থ্য এবং আর্থিক সামর্থ্য সবই আমাদের রয়েছে। সহজভাবে বলতে গেলে এর জন্য এমন কিছুই করতে হবে না যা আমাদের সামর্থ্যের বাইরে।’সম্ভাব্য স্পেস উপনিবেশগুলো দেখতে কেমন হতে পারে সে ব্যাখ্যা জানার আশায় নাসা ১৯৭৫ সালে ইলাস্ট্রেশন ছবি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিল। নাসার সুপার রিসার্চ সেন্টারে জেরার্ড ও নিলের নেতৃত্বে স্থপতি, গবেষক এবং বিজ্ঞানীদের সমন্বয়ে গঠিত অংকনশিল্পের একটি দল মূল্যায়ন করেছিল যে আদৌ এ ধারণাটির বাস্তবায়ন সম্ভব কিনা।
একজন অংকনশিল্পী অবশেষে নাসার কাছে তিনটি ধারণা উপস্থাপন করেছিলেন। ধারণা তিনটি হলো বারনাল গোলক, টোরোইডিয়াল কলোনি ও সিলিড্রিক্যাল কলোনি (যেখানে একই সময়ে এক কোটি লোক রাখা যেতে পারে)। তিনটি ধারণার সবগুলোই ছিল বৃত্তাকার ডিজাইন, যা কেন্দ্রাতিগ বলের মাধ্যমে কৃত্রিম মাধ্যাকর্ষণ তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়েছিল। ডিজাইনগুলোতে ঘূর্ণন ক্ষমতা ত্বরান্বিত করার জন্য নিক্ষিপ্ত সৌর অ্যারে যুক্ত ছিল। ডিজাইনটিতে প্রতিটি কাঠামোর ভেতরে আরামদায়ক বসবাসযোগ্য আধুনিক বাড়ির মতো সুন্দর শ্যামল ল্যান্ডস্কেপ প্রদর্শন করা হয়েছে। ড. গ্লোবাস বলেন, ‘এটি হবে আপনার বসবাসের জন্য উৎকৃষ্ট একটি স্থান যেখানে আপনার সন্তানরা সুন্দর পরিবেশে বেড়ে উঠবে, যেখানে আপনার বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের জন্য ডিনারের ব্যবস্থা থাকবে, উৎসব উদযাপনের ব্যবস্থা থাকবে এবং আপনি চাইলে ছুটিতে পৃথিবীতে বেড়াতে যেতে পারবেন।’
মহকাশে বসবাস নিয়ে বর্তমানে যখন অনেকে সংশয় প্রকাশ করছেন, ঠিক তখন ড. গ্লোবাস দৃঢ়ভাবে আত্মবিশ্বাসী যে একটু দেরিতে হলেও এটি ঘটবেই। তিনি বলেন, ‘দুই বা তিন দশকের মধ্যে আমরা কক্ষপথে ছোট ছোট হোটেলের দেখা পাব এবং মানুষ অবসরে সেখানে অবস্থান করতে যাবে।’