তিনটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ বন্ধের নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ মেডিকেল কলেজ পরিচালনার নীতিমালা ভঙ্গ করায় দেশের তিনটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। ১২ জুন (রোববার) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ নীতিমালাসংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্বকালে মন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। কলেজগুলো হচ্ছে রংপুরের নর্দান মেডিকেল কলেজ, গাজীপুরের সিটি মেডিকেল কলেজ, আশুলিয়ার নাইটিঙ্গেল মেডিকেল কলেজ।
বৈঠকে মন্ত্রী জানান, ওই মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন অন্যান্য বেসরকারি কলেজে শিক্ষা কার্যক্রম শেষ করার সুযোগ দেয়া হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। সভায় নীতিমালা না মানায় চট্টগ্রামের সাউদার্ন মেডিকেল কলেজের আসন্ন ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত এবং একই জেলার বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজের আসনসংখ্যা ১২৫ থেকে কমিয়ে ৭৫ করা হয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে দেশের ৬৮টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ পরিদর্শন কার্যক্রম শেষ করে প্রতিবেদন জমা দিতে পরিদর্শন কমিটিকে নির্দেশ দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মেডিকেল কলেজের মান বজায় না থাকলে দেশে সুচিকিৎসক পাওয়া যাবে না। শুধু সার্টিফিকেট বিতরণের জন্য কলেজের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে দেয়া যায় না। কলেজের কার্যক্রমের মান সুরক্ষায় সরকার কঠোরভাবে তদারকি করবে। এ সময় পরিদর্শন কমিটির প্রতিবেদনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিদর্শন কমিটি ইতিমধ্যে ২৫টি বেসরকারি কলেজের পরিদর্শন শেষ করেছে বলে সভায় জানানো হয়। ভবিষ্যতে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ অনুমোদন, নবায়ন ও আসনসংখ্যা বৃদ্ধির সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের আলাদা পরিদর্শন প্রতিবেদন সমন্বিতভাবে আলোচনার মাধ্যমে পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত হয় ।
সভায় অতিরিক্ত সচিব বিমান কুমার সাহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক দীন মোহাম্মদ নূরুল হক, বিএমডিসির প্রেসিডেন্ট মো. শহীদুল্লাসহ; ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাশিক্ষা অনুষদের ডিন, মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।