ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে না?

ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে না?

নিজস্ব প্রতিনিধি,এসবিডি নিউজ24 ডট কমঃ ভূমি উন্নয়ন কর আইনের একটি ধারা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জনতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ভূমি উন্নয়ন অধ্যাদেশ ১৯৭৬ এ সংক্রান্ত জারি করা সরকারের (প্রজ্ঞাপন) কেন বাতিল করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, ভূমি সচিব, অর্থ সচিব ও বরিশাল জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদেরকে উক্ত রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। পরে রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন।


জনস্বার্থে দায়ের করা এর রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি জেএন দেব চৌধুরীর সম্বনয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, ডিপুর্টি অ্যার্টনি জেনারেল এসএম মনিরুজ্জমান।


পরে জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, ‘ভূমি উন্নয়ন কর অধ্যাদেশ-১৯৭৬ এর ৩ ধারার (১) (এ) তে বলা হয়েছে-সরকার অফিসিয়াল গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর পুর্নবিবেচনা, বর্ধিত কিংবা হ্রাস করতে পারবে। কিন্তু সংবিধানের ৮৩ অুনচ্ছেদ অনুসারে সংসদের আইন বা কর্তৃত্ব ব্যতীত কোনো কর আরোপ করা যাবে না।’


অথচ ২০১৫ সালের ৩০ জুন ভূমি উন্নয়ন কর অধ্যাদেশ-১৯৭৬ এর ৩ ধারার (১) (এ) অনুসারে ভূমি উন্নয়ন কর বৃদ্ধি করে গেজেট জারি করে তৎকালীন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। হ্রাস বৃদ্ধিতে সরকারের এ ক্ষমতা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।


ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া সাংবাদিকদের জানান, ১৬ আষাঢ় ১৪২২ বঙ্গাব্দ এবং ২০১৫ সালের ৩০শে জুন সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করেন। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ভূমি উন্নয়ন কর ১৯৭৬ (১৯৬৩ সনের ২২ নং আইন ধারা সংশোধিত) এর-৩ (১এ) উপধারা প্রদত্ত ক্ষমতা বলে নিন্মরুপ শর্তহীন এলাকা ব্যবহার ভিত্তিক প্রতি শকত ভূমির বার্ষিক করের পরিবর্তিত হার নির্ধারণ করলো।


প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, (ক). ভূমি উন্নয়ন কর অধ্যাদেশ ১৯৭৬ এর সেকশনে ৮(৩) বলা হয়েছে (৮.২৫)৮ দশমিক ২৫ একরের কম হলে ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে না।


তিনি বলেন, কিন্তু (খ). ব্যাক্তি ও পরিবার ভিত্তিক কৃষিজমির পরিমান (৮.২৫)৮ দশমিক ২৫ একরের বেশী হলে ভূমি উন্নয়ন কর দিতে হবে। ভূমি কর বাড়ানো সংক্রান্ত সরকারের ওই সিদ্ধান্ত দিয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপন ও আইনের উক্ত ধারা বাতিল করার দবিতে ভূমি খাজনা প্রত্যাহার সংক্রান্ত কমিটির (বরিশাল) শাখার আহ্বায়ক রিট করেন। ওই রিটের শুনানি শেষে আজ আদালত এই আদেশ দেন।


তার দবি, এ গেজেট অনুসারে কর বাড়ায় বরিশালের কৃষক দেওয়ান আবদুর রশিদ বাড়ানো কর দিতে অপরাগ। বিধায় তিনি হাইকোর্টে রিট করেন।

নিজস্ব প্রতিনিধি